দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলার গ্যাস ব্যবহারের দাবি এবং ইন্টাকোর সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে।

২৭ অক্টোবর, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলার গ্যাস রক্ষা আন্দোলন, ঢাকার সমন্বয়কারী সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম সুজন সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন খান আসাদুজ্জামান মাসুম এবং সাজ্জাদ হোসেন।

মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ডা. হারুন অর রশিদ, আইনজীবী নেতা অ্যাড. আবু হানিফ, যুবনেতা মোহাম্মদ সামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রনেতা গৌতম শীল, দিপ্ত মিত্র, অ্যাড. মামুন, সাংবাদিক জিলানী মিল্টন, আশিকুল ইসলাম জুয়েল।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তম দাস, আফজাল হোসেন বাচ্চু, অ্যাড. নুরুদ্দীন, শংকর মণ্ডল, মনিরুজ্জামান মনির, অনুপ কুমার কুণ্ডু, হুমায়ূন কবির মন্টু, কাজী মঞ্জরুল ইসলাম শাহীন, মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে আবিস্কৃত ভোলার প্রথম গ্যাসকূপ শাহাবাজপুরের গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত ৪৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ৯টি কূপ খনন করে ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভোলার এ গ্যাস পিছিয়ে পড়া দক্ষিণাঞ্চলের শিল্পায়নে ব্যবহার করে ব্যাপক কর্মসংস্থান করা সম্ভব।

বক্তারা আরও বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি মহল ভোলার গ্যাস দক্ষিণের উন্নয়নের কাজে না লাগিয়ে দেশি-বিদেশি কোম্পানীর স্বার্থে ইতিপূর্বে বিদেশে রফতানির পায়তারা করেছে। আবার এখন দেশের গ্যাসের সংকটকে পুজি করে ইন্টাকো নামে একটি কোম্পানিকে দিয়ে ভোলার গ্যাস অন্যত্র ব্যবহারে পায়তারা করছে।

তারা বলেন, পর্যাপ্ত শিল্প উপযোগী জমি, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের হাব তৈরি হওয়া এবং পদ্মা সেতুর কল্যাণে যে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের জন্য ভোলা গ্যাস খুবই গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে পারবে। তাই দক্ষিণাঞ্চলবাসীর বৃহৎ স্বার্থে ইন্টাকো কোম্পানির সাথে সম্পাদিত ভোলার গ্যাস বিক্রির চুক্তি বাতিল করতে হবে।

তারা আরও বলেন, দেশের স্বার্থে যদি ভোলার গ্যাস ব্যবহার একান্তই করতে হয় সেক্ষেত্রে- দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের জন্য আগামী ৩০ বছর কি পরিমাণ গ্যাস প্রয়োজন রয়েছে সেটা নির্ধারণ করে সে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রাখতে হবে। এর বাইরে যে কোন উদ্যোগ আমার দক্ষিনাঞ্চলের নাগরিকরা প্রতিরোধ করবো।

সমাবেশে আগামী ৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার ভোলায় দক্ষিণাঞ্চলের জেলা সমূহের ঘেরাও কর্মসূচি সফল করার আহ্বানও জানানো হয়।

বিবার্তা/রাসেল/লিমন