নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের ন্যাম ভবন জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ জাতীয় সংসদের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
জানাজা নামাজ শেষে জাতীয় সংসদরে ডেপুটি স্পিকার ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু’র পক্ষে ও চীফ হুইপের নেতৃত্বে সংসদ সদস্যরা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ যোহর গুরুদাসপুর বিলশা ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে বিলশা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আব্দুল কুদ্দুসকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় আইসিউতে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার সকালে লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে থাইল্যান্ডে নেয়ার কথা থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি।
আবদুল কুদ্দুস মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, ১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কুদ্দুস। গ্রামে স্কুলজীবন শেষে তিনি রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত তিনি বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় আবদুল কুদ্দুস রাজশাহীতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সাল থেকে তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
আবদুল কুদ্দুস ১৯৯১ সালে নাটোর-৪ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মোট সাতবার নৌকার মনোনয়ন পান এবং পাঁচবার নির্বাচিত হন। আবদুল কুদ্দুস মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিবার্তা/সোহেল/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]