গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা, চুরির অভিযোগ নুরের
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৬:৩৮
গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা, চুরির অভিযোগ নুরের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, এবার কার্যালয়ে চুরি, নতুন কেচিগেট ও তালা লাগানোর অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। এ ঘটনায় পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বধীন গণঅধিকার পরিষদ।


২০ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এক পোস্টে নুরুল হক নুর জানান, অফিস স্টাফ ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের মারধর করে কার্যালয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মনোনয়ন বিক্রির টাকা-পয়সাসহ সব ডকুমেন্টস নিয়ে আমাদের কার্যালয়ে নতুন কেচিগেট ও তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কার্যালয়ের সামনে বহিরাগত ২০-২৫ জন মাস্তানকে বসিয়ে রেখেছে। যারা ঢুকছে তাদের মারধর করছে।


এদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর তিনি বলেন, কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান (অব.) আমাদের কার্যালয়ে গেটের সামনে নতুন আরেকটি কেচিগেট লাগিয়েছে। সেখানে গুন্ডাদের পাহারাদার হিসেবে বসিয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র রয়েছে। আমরা সেখানে গেলেই আমাদের ওপর হামলা করবে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা এখনো কার্যালয়ে যাইনি। যারা কার্যালয়ে গিয়েছে তাদের মারধর করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। মিয়া মশিউজ্জামান আমাদের অফিস দিয়েছিল। তিনি এখন দল করেন না, তাই চুক্তি অনুযায়ী অফিস ভাড়া দেবে। প্রথম দিকে তিনি নমনীয় ছিলেন, কিন্তু সরকারের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেছেন।


তিনি আরো বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পল্টন থানায় যাচ্ছে। সেখানে জিডি করা হবে। যদি পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে কার্যালয় প্রবেশ করব। আর যদি সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের রক্ত ও ঘাম দিয়ে কার্যালয়ে যেয়ে স্বাভাবিক কাজ চালাব। আমরা অফিস ভাড়া নিয়েছি, এখন যদি মালিক ভাড়া দিতে না চায় তাহলে চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাস সময় দিক। সময় পেলে আমরা নতুন কোথাও অফিস ভাড়া নেব।


নুর বলেন, শুরু থেকেই এ মাফিয়া সরকার গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কখনো কখনো নানান ধরনের প্রলোভন দেখিয়েছে, কখনো কখনো হামলা-মামলা করেছে। বিভিন্ন সময়ে সমোঝোতা করার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ নিবন্ধন নিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছে। আমাদের বলা হয়েছিল আমরা যদি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাই তাহলে আমাদের রাজনীতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেবে। আমরা সমঝোতা করিনি বলে আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।


এদিকে এক ভিডিও বার্তায় মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ১৭ মাসের ভাড়া বাকি থাকার কারণে গণঅধিকার পরিষদের অফিস ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। তারা সেটি শোনেনি। এ জন্য প্রথমে তাদের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া হয় এবং মৌখিকভাবে তাদের অফিস ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফের অনুরোধ করা হয়। তখন তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে বা পাবলিক মিটিংয়ে আমার ওপর নানা রকম বিষোদগার করা হয়। এ ঘরের মালিকানা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন। এক পর্যায়ে নুর ঘোষণা দেয় যে, এটি তারা দখলে রাখবে। এছাড়া আমি জমির মালিকানা সম্পর্কিত দলিল হাজির করতে না পারলে তিনি এ ঘর ছাড়বে না বলে জানায়।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com