দেশের নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির অফিসে ভাঙচুর ও চুরির ঘটনায় মামলা নিচ্ছে না রমনা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীন বাদী হয়ে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু অভিযোগটি শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ।
বাদীর অভিযোগ, মামলার প্রধান অভিযুক্তের ক্ষমতা ও টাকার দাপটের কারণে মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ।
জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, কাল ঘটনার পরে রাত দশটা থেকে আমরা অভিযোগ নিয়ে থানায় অবস্থান করি। রমনা থানার ওসি আমাদেরকে থানায় যেতে বলেছিলেন। আমরা প্রায় তিন ঘণ্টা বসে থাকার পর তারা জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া মামলা এখন নেয়া সম্ভব নয়।
মামলাটি নিতে চাইছে না কারণ যার বিরুদ্ধে মামলা তিনি জামায়াতে ইসলামীর বড় ডোনার, বিএনপি নেতা। অনেক টাকার মালিক। তার ক্ষমতা এবং টাকার দাপট কারণে আজকে আমার মনে হয় পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রমাণ থাকার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজ সকালেও ওসি, ওসি (তদন্ত) কে কল করেছি কিন্তু কেউ কল ধরে না। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে রমনা থানার ওসি আবুল হাসানকে একাধিকবার কল দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বাংলামোটর পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ভবনের ১১ তলায় বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর বিবার্তা ও জাগরণ টিভির অফিস ঘুরে দেখা যায়, রিসিপশনে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে বঙ্গবন্ধুর ছবি। বিবার্তা সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি'র কক্ষেও নিচে পড়ে আছে বঙ্গবন্ধুর ছবি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গুরুতপূর্ণ নথিপত্র। কক্ষ থাকা আইপ্যাড ও ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের কক্ষে থাকা সরকারি অনুদানে নির্মিত হওয়া 'মাইক' চলচ্চিত্রের ফুটেজের ডিভাইসও পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষের ড্রয়ার খোলা, এলোমেলোভাব ছড়িয়ে আছে কাগজপত্র।
সকালে অফিসে আসার পর ৯৯৯-এ কল করে ভাঙচুর ও চুরির বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রমনা থানার এসআই একে আজাদ। তিনি বিবার্তাকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসছেন।
এরপর রমনা থানার ওসি আবুল হাসান, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম এবং ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এর ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিবার্তা/সোহেল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]