শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্মার্ট পাঠদান পদ্ধতি অপরিহার্য: মোস্তাফা জব্বার
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৬
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্মার্ট পাঠদান পদ্ধতি অপরিহার্য: মোস্তাফা জব্বার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্ডাস্ট্রির উপযোগী স্মার্ট পাঠদান পদ্ধতি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।


তিনি আরও বলেন, আজকের পৃথিবীতে শিক্ষা মানে ডিজিটাল প্রযুক্তির দক্ষতা শিক্ষা। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।


শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইনক্লুসিভ হাইয়ার এডুকেশন: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।


মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট জনশক্তি তৈরি করে আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্ডের বিরাট সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি কার্যকর ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।


তিনি বলেন, শিক্ষায় প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজন। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। আমরা কেবল প্রথাগত শিক্ষার সার্টিফিকেট দেব কিন্তু তাদের ডিজিটাল দক্ষতা দেব না, এটা হতে পারে না।


মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বড় লাইব্রেরির নাম হচ্ছে ইন্টারনেট। সেই লাইব্রেরি থেকে তথ্য নেওয়ার দক্ষতা দিতে হবে, প্রচলিত শিক্ষায় এটি দেওয়া হয় না। অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরীক হতে না পেরে এই দেশের মানুষ প্রযুক্তিতে শত শত বছর পিছিয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তার পাঁচ বছরের শাসনামলে দেশে ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালুসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে শরীক করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে ৫ম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের যোগ্যতায় উপনীত করেছেন।


তিনি বলেন বলেন, ২৫ বছর আগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করেছি। আমি প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেছি। কাগজের বই ছাড়া এসব কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারছে এবং এক বছরের সিলেবাস তারা তিন মাসে শেষ করতে সক্ষম হচ্ছে। দেশের ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণের জন্য ছুটে আসছে এসব স্কুলে।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডেভিড জে ব্রাউন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ্র এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর রাশেদা আক্তার বক্তব্য রাখেন।


বিবার্তা/রিয়াদ/এসএফ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com