শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের নিন্দা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩২
শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের নিন্দা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ।


মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির আহবায়ক রোকেয়া প্রাচী ও সদস্য সচিব এফ এম শাহীন সাক্ষরিত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ, গভীর ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দার সাথে জানাচ্ছি যে, নীলফামারী ইপিজেডে ভাতের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামা এক শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড কেবল একটি জীবনের অবসান নয়—এটি শ্রমিক শ্রেণীর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকা রাষ্ট্রের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ।


বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, শ্রমিকের ন্যায্য দাবি কখনোই রাষ্ট্রদ্রোহ নয়, বরং তা মানবাধিকারের প্রশ্ন, বেঁচে থাকার প্রশ্ন। অথচ সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালিয়ে রাজপথকে রঞ্জিত করেছে শ্রমিকের রক্তে। এ হত্যাযজ্ঞ আসলে শ্রমিক জনতার প্রতি প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা।


আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এই হত্যাকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী, কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল শ্রমিক-কৃষক-জনতার মুক্তির শপথ নিয়ে। শ্রমিক হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ভাতের অধিকারকে বুলেটে রক্তাক্ত করা মানে সমগ্র জাতিকে রক্তাক্ত করা।


আমরা দাবি জানাচ্ছি :


১. নীলফামারী ইপিজেডের শ্রমিক হত্যার পূর্ণ তদন্ত ও হত্যাকারী যৌথবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


২. নিহত শ্রমিকের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ ও আজীবন ভরণপোষণের নিশ্চয়তা দিতে হবে।


৩. শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও ভাতের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।


৪. ফ্যাসিস্ট দমননীতি ও শ্রমিক-জনতার ওপর গুলিচালনার নীতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।


আমরা এই শ্রমিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।


বাংলার সংস্কৃতি জীবন শ্রমিকের সংগ্রামের সঙ্গে একাকার। শ্রমিকের রক্ত আমাদের গানকে, কবিতাকে, শিল্পকে শানিত করেছে বারবার। তাই আমরা ঘোষণা করছি—এই রক্তের ঋণ আমরা ভুলবো না। এই রক্তই হবে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির আগুন, এই রক্তই হবে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রেরণা।


বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন:


লেখক নীলিমা শামীম, লেখক আহমেদ মনসুর, লেখক নাসির উদ্দীন হায়দার, লেখক হাসান নাসির, প্রাবন্ধিক শোয়েব নাঈম, গল্পকার শানেজুল ইসলাম, ছড়াকার এমরান চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক রাজীব শীল, কবি ও সাহিত্যিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কবি ও নাট্যকার সায়েম উদ্দিন, কবি কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, কবি ও সাহিত্যকর্মী কুতুব হিলালী, কবি কামরুল হাসান বাদল, কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ, কবি শহীদুল আলীম, কবি তুহিন দাস, কবি ও চিকিৎসক মিল্টন হাসনাত, কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. মাসুদ পথিক।


সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ফজলুল বারি, সাংবাদিক ও বিশ্লেষক তৌফিক মারুফ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খন্দকার ইসমাইল, সাংবাদিক রহমান রনি, সাংবাদিক ঋতিক নয়ন, প্রবাসী সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর, ফটোসাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, ফটোসাংবাদিক জুয়েল শীল, গণমাধ্যমকর্মী মাহবুবুল হক, সঞ্চালক ও গণমাধ্যমকর্মী দীপান্বিতা রায় মার্টিন, সাংবাদিক জুয়েল রাজ, সমাজকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী শায়লা আহমেদ লোপা।


বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী ও চিত্রকর তাজুল ইমাম, সংগঠক ও চিত্রশিল্পী মোঃ মনিরুজ্জামান, সংগঠক ও সঙ্গীতশিল্পী আল আমীন বাবু, সঙ্গীতশিল্পী মনিকা রউনক বাবলী, ফ্রিল্যান্স শিল্পী তূর্য কাজী, অভিনেতা সৈয়দ শুভ্র,অভিনেতা গাজী গোফরান, অভিনেতা জামশেদ শামীম, অভিনেতা ও পরিচালক তমাল মাহবুব, চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক, অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক অরুণা বিশ্বাস, চলচ্চিত্র প্রযোজক খোর্শেদুল আলম খসরু, চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিক গুলজার, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরণ, নির্মাতা ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এলবার্ট খান, জুটন চন্দ্র দাস।


সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক ড. শ্যামল কুমার দাশ, অধ্যাপক ও গবেষক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, গবেষক আমিনুর রহমান, গবেষক ড. আব্দুল আউয়াল, প্রফেসর ইশতিয়াক জামিল, উপদেষ্টা মো. সাদিক হাসান, আইসিএসএফ ট্রাস্টি ড. রায়হান রশিদ, লোকসাহিত্য গবেষক সামশুল আরেফিন।


সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকে সভাপতি পুষ্পিতা গুপ্ত, সভাপতি নাহার মমতাজ, সম্পাদক ও প্রকাশক জাকিরুল হক টিটন, সম্পাদক অর্জুন মান্না, সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন, সম্পাদক ও প্রকাশক ভায়োলেট হালদার, সমাজকর্মী ফেরদৌসী হাসান, সমাজকর্মী আদিবা জাহান, সমাজকর্মী রানা মেহের, সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক রানা মেহের, মানবাধিকার কর্মী অনামিকা প্রিয়ভাসিনি, সংগঠক যিকরু হাবিব ওয়াহেদ, সংগঠক রাহুল দাশ নয়ন।


এছাড়া জুরি জাজ আক্তার জামান, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শেলিনা আফরোজ জামান, ইঞ্জিনিয়ার সাইফ সামস, সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়াঙ্কা এলফফ্রস্ট, ব্যবসায়ী মুরাদ খান, মুক্তিযোদ্ধা ওমর সেলিম শের, নাট্যকর্মী অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com