
ষাটের দশকে আবির্ভূত সৃজনশীল কথাশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর জন্মদিন আজ (১৬ আগস্ট)। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
স্বাধীনতা-পরবর্তী কথাসাহিত্যে একেবারে নতুন আদলের সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রবেশ করেন বাউল-স্বভাবী বলে পরিচিত গুণী কথাকার বুলবুল চৌধুরী। তার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ `টুকা কাহিনী`। আত্মপ্রকাশের শুরুতেই এ গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে সাড়া ফেলতে সক্ষম হন। প্রান্তিকবাসী মানুষ ও জীবন নিয়ে নিজস্ব ও নতুন এক গদ্য-ভাষায় নির্মিত তার এই গ্রন্থ সাহিত্যবোদ্ধাদের চমকে দেয়। তিনি নিজের অধিকাংশ লেখায় গ্রামীণ জীবনকে নানা আঙ্গিকে যেমন উপস্থাপন করেন, তেমনি নগরায়নের জটাজালও তার লেখালেখিতে অনন্য বিচিত্রতায় উঠে আসে। নগরের নানা রেখা-উপরেখা ছুঁয়ে গেলেও গ্রামীণ অভিজ্ঞতায় তার প্রধান অবলম্বন খোলা চোখে প্রবহমান জীবন দেখা। সেই জীবনের ভেতর দিয়ে বুলবুল চৌধুরী ঢুকে পড়েছেন মানুষের অন্দরমহলে। প্রাণস্পর্শী দরদে বিন্যস্ত করেছেন সাহিত্যে।
লেখালেখির বাইরে পেশাগত জীবনে বুলবুল চৌধুরী সাংবাদিকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বহুদিন। কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন দৈনিকে। তার প্রকাশিত ছোট গল্পগ্রন্থগুলো হলো `টুকা কাহিনী`, `পরমানুষ`, `মাছের রাত` ও `চৈতার বউ গো`।
তার উপন্যাসগুলোর তালিকায় আছে `অপরূপ বিল ঝিল নদী`, `কহকামিনী`, `তিয়াসের লেখন`, `অচিনে আঁচড়ি`, `মরম বাখানি`, `এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে`, `ইতু বৌদির ঘর` এবং `দখিনা বাও`। তার আত্মজৈবনিক দুটি গ্রন্থের নাম `জীবনের আঁকিবুঁকি` ও `অতলের কথকতা`।
`গাঁওগেরামের গল্পগাথা`, `নেজাম ডাকাতের পালা`, `ভালো ভূত` আর `প্রাচীন গীতিকার গল্প` নামক কিশোর গ্রন্থের রচয়িতাও তিনি।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জসীমউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]