চৈত্র এলেই দুখাই মণ্ডলের
জনশূন্য পথের ঝরাপাতা
আমাকে ডাক পাঠায়।
মন বড় উচাটন হয়!
শাল, শিশু, শিমুল
নিম, মহানিম, কড়াই
বট, হিজল, আর বাশঁঝাড়ের
ঝরাপাতা আমাকে ডাক পাঠায়।
চৈত্রের শেষে শাল গাছগুলোতে
থোকায় থোকায় ফুলে ভরে উঠেছে
গন্ধে ম-ম করে জন্তুর ভিটা।
কড়াই গাছের নতুন পাতায়
সবুজের ছোপ লেগেছে।
আম গাছে বোল এসেছে
কাঁঠাল গাছ ভরে গেছে গুটিতে।
কথা ছিল তোমার হাত ধরে
ধানক্ষেতের বাতর বেয়ে বেয়ে
চাঁনপুর হয়ে চকের মাঝে বগাবাড়ির
ভিটায় গিয়ে আসন পাতব।
যেখানে সন্ধ্যে নামলেই পাঁচনের মত
ধবল বকেরা নীরবে নিশ্চিন্তে নিদ্রা যায়।
একশো এগারোটা জোনাক পোকার আলো দিয়ে
ইদুঁরেরা দালান বানায়।
ঠাকুর বাড়ি, মটুকের পাড়
জলিলের হলুদ পুকুর হাঁটা হয়ে
গিয়েছিলাম ফলিমারার বিলে,
যুবতী জ্যোৎস্নার রূপ দেখিতে।
চৈত-বৈশাখের পূর্ণিমার জন্য
মন কেমন করে।
সবে সন্ধ্যে নেমেছে
চাঁদের আলোর সর্বনাশ হয়েছে।
বিবার্তা/সুমন/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]