চতুর্দিকে ভূতের আছর খপ্পরে তার পড়ছি নিতি
অভিজ্ঞতায় হচ্ছে জমা নিত্য নতুন ভূতের স্মৃতি!
আলোর থেকে অন্ধকারের শক্তি এখন অনেক বেশি
চতুর্দিকেই দাপট দেখায় ওদের পোশাক ওদের পেশী।
ভূতরা হাঁটে পেছন দিকে বলতো দাদা বলতো দাদী
(বেঁচে থাকলে বুঝতো ওরা না থাকাটা আশীর্বাদই...)

বুঝছো চাচা? বুঝছো চাচী?
আর যেও না সমুদ্দুরে দেখতে ঢেউয়ের নাচানাচি।
বুঝছো খালা? বুঝছো খালু?
অপমানের কারণ হবে ফেনায় ভেজা জমাট বালু।
বুঝছো নানা? বুঝছো নানী?
খুব সাবধান! তোমার তরেও অপেক্ষমান পেরেশানী...

বুঝছো কাকা? বুঝছো মামা?
কোথাও যদি বেড়াতে যাও সঙ্গে রাইখো কাবিন নামা।
বুঝছো মামা? বুঝছো কাকা?
নয়কো ইজি নয় নিরাপদ সৈকতে আজ বসে থাকা।
বুঝছো ভাইয়া? বুঝছো ভাবী?
কক্সবাজারে পুলিশ কিন্তু কাবিননামার করবে দাবী।

কাবিন নামাই সবচে খাঁটি আর বাকি সব তাইরে নানা
কী মুসিবৎ! নসিব লিখন! কওতো কোথায় যাই রে নানা!
শেষ বিকেলের সোনার রোদে নৃত্যরত কাঁকড়া ঝিনুক
সমুদ্দুরের নোনা পানির ঝাপটা তোমায় যতোই চিনুক
কাজ হবে না, থাকতে হবে সঙ্গে তোমার কাবিন নামা।
ওরে তোরা কোথায় আছিস পাগলা ষাঁড়কে একটু থামা...
একটু থামা একটু থামা
একটু থামা একটু থামা...

অটোয়া ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী