অনেক শিশুই 'লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি'র সমস্যায় ভোগে। কী এই সমস্যা? কোন থেরাপির সাহায্যে মিলবে সুফল?
সে সব পারে, সব জানে, সব পড়া মুখস্থ। কিন্তু স্কুলে গিয়ে লিখবে না। পরীক্ষার খাতায় তো নয়ই। এমন অনেক বাচ্চাদের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা যায়।
এই সমস্যাটিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি’। এই সমস্যার তিনটি ভাগ রয়েছে।
১) পড়তে অসুবিধা হওয়া (ডিসলেক্সিয়া),
২) লিখতে অসুবিধা (ডিসগ্র্যাফিয়া),
৩) অঙ্ক করতে সমস্যা (অ্যারিথমেটিক)।
এই সমস্যার সমাধান একমাত্র লুকিয়ে রয়েছে ‘অকুপেশনাল থেরাপি’তে।
কী এই থেরাপি?
শিশুকে হাতে ধরে শেখানোর থেকে খেলার ছলে শেখানো অনেক বেশ সহজ। শিশুর পক্ষেও এই পদ্ধতি অনেক বেশি স্বচ্ছন্দের হয়। বয়স অনুপাতে প্রত্যেক শিশুর বিকাশ এবং নিজের কাজ করার দক্ষতা গড়ে ওঠে না। কারও কারও ক্ষেত্রে বয়স পেরিয়েও এই দক্ষতা গ়়ড়ে ওঠে ন। এই ছোটখাট খামতি দূর করতেই দরকার হয় অকুপেশনাল থেরাপির। এই থেরাপি একটি শিশুকে স্বাধীন ভাবে নিজের প্রয়োজনীয় কাজটি করতে এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে।
থেরাপিস্ট প্রথমে শিশুর ঠিক কী সমস্যা রয়েছে সেই বিষয়টি মূল্যায়ন করে নেন। শিশুর ঠিক কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে থেরাপির পদ্ধতি তৈরি করেন।
ধরা যাক, কোনও বাচ্চা লিখতে পারে না। পেন কিংবা পেনসিল ধরতে পেশিতে সমস্যা হয়। লেখার প্রতি চরম অনিহা। সেক্ষেত্রে খেলার ছলেই কিন্তু লেখা শেখানো হয় বাচ্চাদের। এই থেরাপি চলাকালীন শিশুকে লেখার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। শিশুর পঞ্চইন্দ্রিয়ের সমন্বয়েও কিন্তু এই থেরাপি সাহায্য করে।
তাহলে আলাদা করে শিশুর মনের উপর চাপ পড়ে না। তার চেনা পরিবেশেই দৈনন্দিন কাজের মাঝেই তাকে কাজটা শেখানো সহজ হয়। বাচ্চার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। তার সমস্যাটি কাছ থেকে লক্ষ করে তবেই সমাধানের পথ খোঁজা হয়। এই গোটা পদ্ধতিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয়, ‘প্ল্যান অফ কেয়ার’(পিওসি)। বাচ্চার সমস্যার উপর নির্ভর করবে এই থেরাপি কত দিন ধরে চলবে। সপ্তাহে দু’দিন মূলত এই থেরাপি করানো হয়। প্রথম দিকে একঘণ্টা করে হলেও, পরের দিতে সময় কমে ৪০-৪৫ মিনিট হয়ে যায়। । কারণ তখন আর দরকার পড়ে না।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]