রক্তে যে সব প্রোটিন আছে তার মধ্যে কোলেস্টেরল একটি। যা রক্তের মাধ্যমে শরীরে ঘুরে বেড়ায়। এই প্রোটিনকে বলা হয় লিপো প্রোটিন। যা দুই রকমের; লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) ও হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এলডিএল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। এই জাতীয় কোলেস্টেরল সহজেই মানবদেহের ধমনিগাত্রে জমা হতে পারে।

এইচডিএল বা হাইডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকে কখনো বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল। এইচডিএল রক্ত থেকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলকে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বাড়বে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমবে।

চলুন জেনে নেয়া যাত এই খাবারগুলো সম্পর্কে,

১. রসুনে থাকে অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। যার সংমিশ্রণ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে প্রতিদিন অর্ধেক বা একটি রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

২. যেকোনো রকমের ডাল বা ছোলা রোজ যদি এক কাপ খাওয়া হয়, তবে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

৩. এক বাটি ওট মিল, লাল আটার রুটি ও সবজি, ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ ও বাদাম খারাপ কোলেস্টেরল ঠেকানোর জন্য ভালো।

৪. সয়াবিনে আছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন। প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে বিকল্প প্রোটিন হিসেবে নিয়মিত সয়াবিন গ্রহণ করায় প্লাজমা কোলেস্টেরলের পরিমাণ ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ কমে।

৫. চায়ের মধ্যে গ্রিন টি খুবই ভালো। দিনে যদি দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি খাওয়া হয়, তাহলে খারাপ কোলেস্টেরল অনেকটাই আয়ত্তে থাকবে।

৬. বেগুনি রঙের ফল এবং শাক-সবজিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

বিবার্তা/এসবি