দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এইচ এম এরশাদের আপিল শুনানি পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এরশাদের আইনজীবীর সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম।

শুনানি শেষে এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এরশাদ সাহেব গুরুতর অসুস্থ। মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরামর্শের জন্য কথা বলতে পারেননি। তাছাড়া এই মামলায় আগে সিনিয়র অনেক আইনজীবী ছিলেন। আমি নিজেও মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তাই চার সপ্তাহ সময়ের আবেদন করলে আদালত দুই সপ্তাহ মঞ্জুর করেন।

আদালত বলেন, ১৯৯২ সালের মামলা এখনো বিচারাধীন থাকলে হাইকোর্টের দরজা বন্ধ করে দেয়া উচিত। উনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হলেও আলাদা কোনো সুযোগ পাবেন না। আইন সবার জন্য সমান। এটি আপনাদের শেষ সুযোগ আর কোনো সময় দেয়া হবে না।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহাররাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি