লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশদ্ভূত শামীমা বেগম (২৪) যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারছেন না। শামীমার করা নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত বলেছেন, আইনসিদ্ধভাবেই শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে।
আদালতের এই আদেশের অর্থ শামীমাকে সিরিয়ায় থাকতে হবে এবং তার যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।
আইএসে যোগ দিতে আট বছর আগে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন শামীমা। ২০১৯ সালে তার জন্য দেশটির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি দেশটিতে ফিরতে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
নিজের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনের আপিল আদালতে ওই মামলা করেন সাবেক ‘আইএস বধূ’ শামীমা বেগম।
শামীমা বেগম ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি তার স্কুলের দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ায় যেতে পূর্ব লন্ডনের বাসা ছাড়েন। তারা বাংলাদেশি–অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী ছিলেন। পরে সিরিয়ায় গিয়ে ডাচ্ বংশোদ্ভূত আইএস জঙ্গি ইয়াগো রিদাইককে বিয়ে করেন শামীমা। সেখানে তার তিনটি সন্তান হয়। তবে সন্তানেরা কেউ বেঁচে নেই।
সংবাদমাধ্যমে জিহাদি বধূ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ২৩ বছর বয়সী শামীমা ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খেলাফতের পতন হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার একটি বন্দিশিবিরে পাওয়া যায়। এ সময় তিনি জানান, ওই সময়কার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেন। এতে তিনি (শামীমা) রাষ্ট্রহীন অবস্থায় পড়েছেন।
এদিকে, শামীমার মা বাংলাদেশি হওয়ায় তিনি ‘বংশগতভাবে’ বাংলাদেশের নাগরিক বলে আলোচনা উঠেছিল। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম কখনও বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান হলো, এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার কোনো অধিকার তার নেই। তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়ারও সুযোগ নেই।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]