দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার সংগঠন ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ জানিয়েছে, চীনে আটক উত্তর কোরিয়ার ৬০০ বন্দি মুক্তির পর নিখোঁজ হয়েছেন। উত্তর কোরিয়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে, ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পালাতে গিয়ে ধরা পড়া এসকল ব্যক্তির পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে দেশটির প্রতিবাদ জানানোর প্রায় দুই মাস পরে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।
রিপোর্টে মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, ৯ই অক্টোবর পাহারারত অবস্থায় বাস ও ভ্যানে করে বন্দীদেরকে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, যা অঞ্চলটিতে এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
যদিও বন্দীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মুক্তির পর থেকে বন্দীদের কারও সাথেই আর যোগাযোগ করা যায়নি। উত্তর কোরিয়ায় দেশদ্রোহী হিসেবে পরিচিত এসকল ব্যক্তির ভাগ্যে কারাবরণ, জোরপূর্বক গর্ভপাত, যৌন নির্যাতন এবং ফাঁসি জুটেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গনমাধ্যম এখনো এ ব্যাপারে কিছু জানায় নি। দেশটিতে এধরনের ব্যক্তিদেরকে নোংরা জীব বলে মনে করা হয় এবং তাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন গত কয়েক বছরে সীমান্তে কঠোর পাহারা বসিয়েছেন।
গত অক্টোবরে চীন সরকার জানিয়েছিলো তাদের দেশে উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে আসা কোনো ব্যক্তি নেই। তবে চীন সরকার এটাও বলেছে যে তাদের দেশে উত্তর কোরিয়ার অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে প্রবেশ করেছে এবং তাদের সাথে চীন সরকার সর্বদাই আইনানুগ আচরণ করে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) যোগাযোগ করা হলে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করে নি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]