ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণ উত্তর গাজার বেশিরভাগ অংশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। বাড়িঘর, স্কুল ও হাসপাতাল বিমান হামলায় বিস্ফোরিত হয়েছে এবং ট্যাঙ্কের আগুনে পুড়ে গেছে। কিছু বিল্ডিং এখনও দাঁড়িয়ে আছে, তবে বেশিরভাগই ধ্বংসের মুখে।
গাজা উপত্যকায় ২ লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৪৬,০০০টি ধ্বংস হয়েছে। মোট আবাসনের ৬০ শতাংশের বেশি ধ্বংস হয়েছে। বিশেষ করে গাজা শহর এবং উত্তর গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণের ফলে সকল বিল্ডিংয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তঃসংস্থা গ্রুপ একটি নতুন প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাস্তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো যেমন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং বিতরণ নেটওয়ার্কগুলোর ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি পানির স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, পাইপ, সরবরাহ নেটওয়ার্ক এবং ড্রেনেজ চ্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্যসেবা ঠিক না হলে সরাসরি হামলার চেয়ে বেশি মৃত্যু হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মার্গারেট হ্যারিস এসব কথা জানান। এ সময় তিনি আল শিফা হাসপাতালের করুণ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি একটি ট্রাজেডি হিসেবে স্মরণীয় থাকবে।
ইসরাইলি বাহিনীর কিছু মেডিক্যাল কর্মীকে আটক করার বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এদিকে, ইসরাইলি কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে ইসরাইলের কারাগার থেকে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এক ফিলিস্তিনি কিশোর। সোমবার (২৭ নভেম্বর) আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সে এই অভিযোগ করে।
সাক্ষাতকারে মুক্তিপ্রাপ্ত কিশোর মোহাম্মদ নাজ্জাল অভিযোগ করে বলে, গত সপ্তাহে ইসরাইলি কারারক্ষীরা মেরে আমার হাত ও আঙ্গুল ভেঙে দেয়। এ সময় আবেদন করেও আমি তাদের থেকে চিকিৎসা সেবা পাইনি।
নাজ্জাল আরো বলে, তাকে ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমির এক কারাগারে রাখা হয়েছিল। এই কারাগারটি ফিলিস্তিনি বন্দিদের সাথে খারাপ আচরণের জন্য কুখ্যাত। তারা সেখানে বৃদ্ধদের সাথেও অনেক অমানবিক আচরণ করে। আমার তা সহ্য করতে কষ্ট হতো। কিন্তু কিছুই করার ছিল না তখন।
সূত্র : আলজাজিরা
বিবার্তা/মাসুদ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]