গাজার হাসপাতালগুলো যেন একেকটি মর্গ
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৭
গাজার হাসপাতালগুলো যেন একেকটি মর্গ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে জ্বালানি সঙ্কটে পড়েছে গাজা উপত্যকা। বন্ধ হয়ে গেছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ফলে অঞ্চলটি এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোর নিয়মিত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়া চিকিৎসার যন্ত্রপাতি হয়ে পড়েছে অকেজো।


ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি না হলে উপত্যকার হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চিকিৎসা সেবাদাতা আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস তথা এমএসএফ।


১২ নভেম্বর, রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া পোস্টে এমএসএফ কানাডা এ সতর্কবার্তা দেয়।


এমএসএফ কানাডার পোস্টে বলা হয়, হাসপাতালে প্রাণ বাঁচিয়ে রাখে বিদ্যুৎ এবং আমরা জানি এটি ছাড়া রোগীদের মৃত্যু হয়। যদি এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হয়, আমরা যদি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই রক্তপাত বন্ধ না করি কিংবা এসব হাসপাতালের রোগীদের অন্ততপক্ষে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেয়াকে সমর্থন না করি, তাহলে এসব হাসপাতাল মর্গে পরিণত হবে।


গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে দুই দেশের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের। প্রতিনিয়ত প্রাণহানির সংখ্যার এমন বৃদ্ধিকে ঘৃণ্য বলে অভিহিত করছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। বেসামরিক ব্যক্তিদের দুর্ভোগ কমাতে ইসরায়েল ও হামাসের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।


এ বিষয়ে আইসিআরসির মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক প্রধান ফ্যাব্রিজিও কার্বোনি এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় বিদ্যুৎ সঙ্কটে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। বয়স্ক রোগীরা অক্সিজেন ঝুঁকিতে আছে, নবজাতকদের চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিস বন্ধ হয়ে গেছে, এক্স-রে হচ্ছে না। হাসপাতালগুলো ধীরে ধীরে মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।


তিনি আরও বলেন, গাজার পরিবারগুলো নিরাপদ পানিও পাচ্ছে না এখন। বাবা-মায়েরা শিশুদের নোংরা পানি দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ যুদ্ধে আইসিআরসির চার কর্মীর প্রাণহানির কথাও জানান তিনি।


গাজার আল-শিফা হাসপাতালের একজন প্রতিনিধি বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনে ভুক্তভোগী হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকরা। সহায়তার জন্য বৈশ্বিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রবিবার এক্সে এক পোস্টে জানায়, গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না সংস্থাটি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com