জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সোমবার (৩০ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণকালে তার বুকে একটি হলুদ তারকা ধারণ করেন। তিনি যতক্ষণ না সংস্থার সদস্যরা হামাসের নৃশংসতার নিন্দা না করছে ততক্ষণ ব্যাজটি পরার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
এরদান ‘অহংকারের প্রতীক হিসেবে’ তারকা পরেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, হামাসের নৃশংসতার নিন্দা না জানানো পর্যন্ত তিনি তারকা পরিধান করবেন। খবর এএফপি’র।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের নজিরবিহীন হামলার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের চুপ করে থাকার নিন্দা জানিয়ে দূত গিলাদ এরদান বলেন, ‘গত ৮০ বছরে আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ কোনো প্রকার শিক্ষা গ্রহণ করেননি অনেকেই ভুলে গেছেন কেন এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তীব্রভাবে বিভক্ত ১৫-সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়াামিন নেতানিয়াহু ৭ অক্টোবরের হামলাকে হলোকাস্টের (ইহুদি গণহত্যা) পর ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে জঘন্য হামলা বলে অভিহিত করেছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ ও এর প্রভাব নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে এবং সংঘাত সম্পর্কিত চারটি খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাখান হয়েছে।
এদিকে আমেরিকানদের উপস্থাপিত আরেকটি প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়নি রাশিয়া ও চীন বিশেষভাবে বাধা দেওয়ায়।
অচল পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ অনুরোধ করে একটি প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়েছে, তবে সেখানে হামাসের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ নেই।
সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বেশ ক’জন বক্তা হামাসের হামলার নিন্দা করেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিততে গাজার বাসিন্দাদের যে মূল্য দিতে হয়েছে সে কথা তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ৮,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সূত্র: বাসস
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]