ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। কয়েক দিন বিরতির পর আবারও নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুর ১টার পরে কারফিউ জারি করা হয়।
এদিকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর মণিপুরের একজন সাবেক বিধায়কসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সন্ধ্যায় বলেন, সাবেক বিধায়কসহ তিন সশস্ত্র ব্যক্তি নিউ চেকন এলাকায় দোকানদারদের দোকান বন্ধ করার হুমকি দেয়।
পুলিশ জানায়, রাজধানী ইম্ফলের নিউ চেকন এলাকায় মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের কয়েকজনের মধ্যে বাজারের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ বাধলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি হয়। তার পরই লাঠি এবং অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। তাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বাজারের বেশ কিছু দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এ সময়।
প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন কারণে মণিপুর রাজ্যে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বিরোধ চলছে। মেইতি সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি, তপশিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত হওয়া। সম্প্রতি হাইকোর্ট মেইতি সম্প্রদায়কে তপশিলি উপজাতিভুক্তদের তালিকায় আনা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন। এর পরই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।
হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিবাদে ৩ মে চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাঙে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর’ (এটিএসইউএম) ‘আদিবাসী সংহতি পদযাত্রা’র ডাক দেয়। সেখান থেকে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। এক সপ্তাহ ধরে চলা এ সহিংসতায় ৭০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। কয়েক কোটি রুপির সম্পত্তির ক্ষতি হয়। লাখো মানুষ ঘর ছেড়ে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়।
বিবার্তা/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]