সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে ২০১৫ সালে বাড়ি ছাড়েন বাংলাদেশি ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। দুই বান্ধবীকে নিয়ে ওই সময় সিরিয়ায় যান তিনি।
আইএসে যোগ দেওয়ায় ২০১৯ সালে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ সরকার। এই নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। তবে আপিলেও এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
২০২২ সালের নভেম্বরে শামীমার নাগরিকত্ব নিয়ে ‘বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশনে’ পাঁচদিন শুনানি হয়। সেই শুনানি শেষে বুধবার কমিশনের বিচারক রবার্ট জে রায় দিয়েছেন, ‘শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত বৈধ।’
শামীমা যখন সিরিয়ায় যান তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সিরিয়ায় গিয়ে তিনি নেদারল্যান্ডস থেকে আসা এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন। সেখানে তিন সন্তানের জন্ম দেন। তবে কেউ এখন আর বেঁচে নেই।
শামীমাকে ২০১৯ সালে একটি শরণার্থী শিবিরে খুঁজে পান এক সাংবাদিক। ওই সময় তিনি ওই সাংবাদিকের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান, তাকে যেন নিজ দেশে ফিরতে দেওয়া হয়। তবে অনুরোধ রাখার বদলে ওই সময় তার নাগরিকত্বই বাতিল করে দেয় সরকার।
বর্তমানে ২৩ বছর বয়সী শামীমা আছেন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আল-রোজ শরণার্থী শিবিরে। এক সাক্ষাৎকারে শামীমা জানিয়েছেন, সেখানকার পরিস্থিতি কারাগারের চেয়েও খারাপ।
এদিকে বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশন যদি শামীমার পক্ষে রায় দিত, তাতেও তিনি ব্রিটেনে ফিরতে পারতেন না। কারণ তার ফেরার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারের ওপর।
তবে যেহেতু বিশেষ আপিল কমিশন বিপক্ষে রায় দিয়েছে, ফলে শামীমার যুক্তরাজ্যের ফেরার বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে গেছে।
বিবার্তা/এমএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]