
স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ওই ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশে এখন ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
৯ মে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকাস্থ কচুয়া উপজেলা সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল সময়েও দেশের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। করোনাকালে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে ভালো ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়েছে। এই কমিউনিটি ক্লিনিকও আওয়ামী লীগ স্থাপন করেছিল। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বপ্নপূরণ হবে।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেছে। করোনাকালে মানুষকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক ভালো ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এটাকে ফোর লেন করার কাজ আরম্ভ করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই রাস্তা চার লেন হয়েছে, এখন সেটা ছয় লেন, আট লেন করার চিন্তা করা হচ্ছে। একইভাবে সারা দেশে আওয়ামী লীগের সময়ে অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন মাত্র ৮৪ ডলার মাথাপিছু আয় দিয়ে। ক্ষমতার সাড়ে তিন বছরে তিনি ২৭৭ ডলার মাথাপিছু আয়ে উন্নীত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তারপর ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল জিয়া-এরশাদের দল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি; যেখানে ১৯৯৫ সালের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২৯ ডলার। ৩২৯ থেকে ২৭৭ ডলার বাদ দিলে মাত্র বেড়েছিল ৫২ ডলার। মানে, ২১ বছরে তারা মাত্র ৫২ ডলার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ৫০০ ডলার দিয়ে শুরু করে ১৫ বছরে ২২০০ থেকে ২৩০০ ডলারের বেশি উন্নীত করেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ কচুয়া উপজেলা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম আবদুল মোতালেব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকাস্থ কচুয়া উপজেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমিতির সহসভাপতি জি এম আতিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, ডা. শামছুদ্দোহা মজুমদার নিজাম, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক, মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী দুলাল, মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]