রোজায় ফিটনেস ধরে রাখবেন যেভাবে
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪১
রোজায় ফিটনেস ধরে রাখবেন যেভাবে
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রোজা রেখে স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি ফিটনেস ধরে রাখতে কয়েকটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যারা রোজা রাখেন, তারা সেহরি থেকে ইফতারি পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন। খাবারের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৈনন্দিন লাইফস্টাইলেও পরিবর্তন আসে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, রমজানে সুস্থ থাকতে খাবার ও পানির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করতে হবে এবং যতটা বেশি সময় সম্ভব বিশ্রামে থাকতে হবে।


পুষ্টিবিদদের মতে, রোজার সময় যারা নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই শর্করা জাতীয় খাবার রাখতে হবে। ইফতার, রাতের খাবার এবং শেষ রাতের খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখতে হবে, যা থেকে দ্রুত ক্যালরি পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখে নেয়া যাক সেগুলো-


পানি পান
রমজানে অনেকে মাথা ব্যথায় ভোগেন। চিকিৎসকরা বলছেন, পানিশূন্যতার কারণে এমনটা হয়। এ ক্ষেত্রে কেউ স্বাভাবিক সময়ে যে পরিমাণ পানি পান করেন, রোজার সময় একই পরিমাণ পানি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পান করা উচিত। অর্থাৎ, ওই সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর অল্প অল্প পানি পান করা যেতে পারে।


সেহরি যেমন হবে
যারা রোজা রাখেন, তারা দিনে তিনবারের বদলে সাধারণত দুইবার খাবার গ্রহণ করেন। তাই ওই দুই বেলার খাবার যেন সারাদিনের চালিকাশক্তি দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শরীরে যেন পুষ্টির ঘাটতি তৈরি না হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎকদের পরামর্শ, সেহরিতে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবারের পাশাপাশি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা-জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। সঙ্গে যদি কিছু সবজি ও ফল থাকে তাহলে তা বোনাস।
ইফতারি যেমন হবে
রোজার সময় সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়। তাই ইফতারের সময় অনেকেরই মনে হতে পারে যে সারাদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে অনেক খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে ইফতারে অনেকেই যা খান, তা অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল অনুভব হয়। ফলে পরেরদিনের রোজার জন্য উৎসাহী অনুভব হয় না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানি দিয়ে ইফতার শুরুর পর খেজুর ও কিছু ফল খাওয়া উচিত। খাওয়ার সময় আপনার ঐতিহ্যবাহী খাবারই খান, কিন্তু সেখানে যেন প্রোটিন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও সবজি থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেখানে সুপ, স্টু, মাছ বা মুরগির মাংসের আইটেম থাকতে পারে।


ব্যায়াম
অধিকাংশ মানুষই ইফতারের এক বা দুই ঘণ্টা আগে ব্যায়াম করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ সেক্ষেত্রে ব্যায়াম শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা খাবার ও পানি পেতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি যদি আপনার সূচির সঙ্গে কাজ না করে, তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব সূচি অনুযায়ী চলতে পারেন। তবে রমজানের সময় ইফতারির অন্তত এক ঘণ্টা পরে ব্যায়ামের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া এই মাসে কঠিন ধরণের ব্যায়ামের রুটিন শুরু না করে হাঁটা বা হালকা দৌড়ানোর মতো ব্যায়াম করা বেশি কার্যকর।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com