একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি দিনে ৫ থেকে ১৯ বার হাই তোলে। কিন্তু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক লোক আছেন যারা দিনে প্রায় ১০০ বার হাই তোলেন। এর একটি সাধারণ কারণ কম ঘুমনো। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা কিছু গুরুতর রোগের ইঙ্গিত দেয়। ঘন ঘন হাই তোলাও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
চলুন জেনে নেই সেসব সম্পর্কে-
১.ঘুমের অভাব
অনেকেরই দিনের বেলায় খুব বেশি ঘুম পায়। যার কারণে তাঁদের অতিরিক্ত হাই তোলার সমস্যায় পড়তে হয়। যখন রাতে ভাল ঘুম হয় না তখন এ সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে ঘুম কম হলে ক্লান্তি বোধ হয় এবং হাই আসে ।
২. ডায়াবেটিস
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। রক্তে সুগারের মাত্রা কম হলে হাই তোলা শুরু হয়।
৩. স্লিপ অ্যাপনিয়া
স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের রাতে ঘুমানোর সময় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ রোগের কারণে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না ফলে পরের দিন খুব ক্লান্ত লাগে। এ রোগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ঘুমোনোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বারবার বন্ধ হয়ে যায় এবং নড়াচড়া করে। বিপজ্জনক বিষয় হল এতে ঘুমের মধ্যেই শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ।
৪. নারকোলেপসি
নারকোলেপসিও এক ধরনের ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা। যার মধ্যে একজন ব্যক্তি যে কোনও সময় এবং যে কোনও জায়গায় হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এ রোগে রোগীর দিনের বেলা অনেক সময় ঘুম পায়, যার কারণে ব্যক্তি প্রচুর হাই তোলেন।
৫. অনিদ্রা
অনিদ্রাও ঘুম সংক্রান্ত একটি রোগ। এই রোগে একজন ব্যক্তির রাতে ঘুম হয় না বা একবার ঘুম থেকে উঠলে ফের ঘুমোনো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রাতে ঘুমের অভাবের কারণে দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পেতে শুরু করে। যার কারণে প্রচুর হাই ওঠে।
৬. হৃদরোগ
অধিক হাই তোলার সঙ্গে ভ্যাগাস নার্ভের সংযোগ হতে পারে। যা মন থেকে হার্ট ও পেটে যায়। কিছু গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত হাই তোলা হার্টের চারপাশে রক্তপাত বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও নির্দেশ করে।
বিবার্তা/জবা/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]