শিরোনাম
কদবেল গুণে মোটেও কদাকার নয়
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:১১
কদবেল গুণে মোটেও কদাকার নয়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতীয় প্রাচীন ফল ‘কপিত্থ’ বাংলায় এসে নাম হয়ে গেলো কদবেল। নামে কদবেল হলেও কদবেল দেখতে কিন্তু মোটেও কদাকার নয়। অনেকটা ক্রিকেট বলের মতো দেখতে এই ফল বছরের আগস্ট-নভেম্বর মাসে গাছে পাকতে শুরু করে।


কদবেল খেতে কিছুটা টক স্বাদের। বুঝতেই পারছেন, প্রায় সব নারীরই প্রিয় ফল হওয়ার কারণ। চাইলেই এই ফল দিয়ে সুস্বাদু ভর্তা কিংবা চাটনি বানিয়ে খাওয়া যায়।


প্রাচীন আয়ুর্বেদী এবং ইউনানী চিকিৎসায় কদবেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। এর কারণ এটির ঔষধি ও পুষ্টি গুণাগুণ। কদবেল মুখের রুচি বৃদ্ধিতে দারুণভাবে সাহায্য করে। পেটের নানান রকম পীড়া দূর করতেও সমানভাবে কার্যকর কদবেল। এছাড়া কাশি, সর্দি, হাঁপানি ও যক্ষার অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কদবেল ব্যবহৃত হয়।


আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় ডায়াবেটিসের একমাত্র ঔষধ হলো কদবেলের নির্যাস। এই ফল কিডনির যত্ন নেয়। যকৃতের জন্যও উপকারী। ব্রণ হলে কাঁচা কদবেলের রস লাগালে বেশ উপকার হয়। বদহজমের জন্য ছোট এলাচ ও মধু দিয়ে কাঁচা কদবেল খেলে বদহজম দূর হয়।


মজার ব্যাপার হলো, কদবেলের চেয়ে কয়েকগুণ বড় ফল কাঁঠালে যে পরিমাণ আমিষ রয়েছে এর দ্বিগুণ পরিমাণ আমিষ আছে কদবেলে। আম ও লিচুর চেয়ে আমিষ আছে প্রায় তিনগুণ বেশি।


কদবেলে আছে যথেষ্ট পরিমাণ খণিজ পদার্থ, খাদ্যশক্তি, চর্বি, শর্করা, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-সি। প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের ৪৯ কিলো ক্যালোরি শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে।


এতো ক্ষমতাবান এই ফলটির আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশেই। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকায় জন্মেও প্রচুর। প্রকৃতিতে এখন কদবেলের মৌসুম চলছে। বছরের অল্প সময় ধরে পাওয়া যাওয়া এই ফলটির সদ্ব্যবহার করা উচিত।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com