আগামী ১০ সেপ্টেম্বর একুশে পদকপ্রাপ্ত ও বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, কাহিনীকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এটিএম শামসুজ্জামানের জন্মদিন। গত বছর জন্মদিনে একটি চ্যানেলে লাইভ শোতে অংশ নিলেও এবার আর জন্মদিনে তিনি ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ''জন্মদিন এলে মুত্যুর কথা মনে পড়ে যায়, কারণ জন্মদিন আসা মানেই হলো জীবন থেকে আরো একটি বছর চলে যাওয়া। জন্মদিন আসা মানেই হলো মুত্যুর দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া। অবশ্য এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার আমার মুত্যুকে নিয়ে গুজব হয়েছে। কে বা কারা যে এমন করে এবং এটা করে যে তাদের কী লাভ হয় আমি সেটাও বুঝিনা। যাইহোক জন্মদিনে সবার কাছে দোয়া চাই, আমার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।''

এটিএম শামুসাজ্জামান জানান প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুটিং করতেও তার ভালোলাগেনা। তাই আপাতত কোন নাটক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন না তিনি। তবে গরমটা কমলে আবারো নিয়মিত হবেন অভিনয়ে। এটিএম শামুসজ্জামান অভিনীত সর্বশেষ জনপ্রিয় নাটক হচ্ছে মীর সাব্বির পরিচালিত ‘নোয়াশাল’।

তবে হাসান জাহাঙ্গীর পরিচালিত ‘চাপাবাজ’ ধারাবাহিকটি এখনো বৈশাখী টিভিতে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। ঈদের আগেও তিনি এই ধারাবাহিকের শুটিং-এ অংশ নেন। প্রচার শেষ হয়েছে এটিএম শামসুজ্জামান অভিনীত কায়সার আহমেদ পরিচালিত ‘মহাগুরু’ ধারাবাহিকটি। এটিএম শামুসজ্জামান কবিতা লিখেন এটা অনেকেরই অজানা।

আবার বিউটি বোর্ডিংয়ের প্রথম ব্যাচের একজন তিনি সে কথাও নির্দ্বিধায় জানালেন তিনি। চলচ্চিত্রে প্রবীরমিত্র তার খুউব ভালো বন্ধু হলেও নায়ক রাজ রাজ্জাক এবং আব্দুল জব্বারও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে জানান।

নায়ক রাজ রাজ্জাক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ''তিনিই একমাত্র শিল্পী ছিলেন যিনি আমাকে বকা ঝকা করার অধিকার রাখতেন। নায়ক রাজ রাজ্জাক এমনই একজন মানুষ ছিলেন যিনি বর্তমানকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতেন, অতীতকে তিনি ভুলতেন না এবং ভবিষ্যতের জন্য তিনি পথ কাটতেন। নায়ক রাজ নেই, এ যেন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য এক বিশাল শূণ্যতা। আমি কিছুই না চলচ্চিত্রের। কিন্তু নায়ক রাজ অনেক কিছু।''

চলচ্চিত্রের নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক কার সঙ্গে আপনার? জবাবে এটিএম শামুসজ্জামান বলেন, ''শবনমের সঙ্গেই আমার সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। এটা সত্যি নায়ক রাজ রাজ্জাক আর কাজী হায়াৎ ছাড়া তাকে তেমন কেউ এদেশে কাজে লাগাতে পারেনি। অথচ কতো বড় মাপের একজন অভিনেত্রী তিনি। দীর্ঘ বিশ বছর তিনি অভিনয় ছাড়াই এদেশে কাটিয়ে দিলেন। তারমতো প্রতিভাবান শিল্পী বারবার জন্ম নেবে না। তাই আমরা সত্যিই হতভাগা।''

বিবার্তা/অভি/কামরুল