শিরোনাম
সঙ্গীতাঙ্গনে কুমার বিশ্বজিৎ’র তিন যুগ
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ২২:০৬
সঙ্গীতাঙ্গনে কুমার বিশ্বজিৎ’র তিন যুগ
অভি মঈনুদ্দীন
প্রিন্ট অ-অ+

সঙ্গীতাঙ্গনে কুমার বিশ্বজিৎ তিন যুগ সময় পার করছেন। এই তিনযুগে বাংলাদেশের সঙ্গীতকে দেশে এবং দেশের বাইরে সমৃদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক পেয়েছেন বহু সম্মাননা এবং তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। যদিও সঙ্গীতে তার সংগ্রামী জীবন শুরু হয় ১৯৭৭ সাল থেকে কিন্তু পেশাগতভাবে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে তার পদচারণা শুরু হয়।


আব্দুল্লাহ আল মামুনের লেখা এবং নকীব খানের সুর সঙ্গীতে তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে গানটি বিটিভিতে প্রচার হয় আল মানসুর প্রযোজিত ‘শিউলী মালা’ অনুষ্ঠানে। এই গান দিয়েই এদেশের সঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নেন কুমার বিশ্বজিৎ।


১৯৮৫ সালে নূর হোসেন বলাই পরিচালিত আলাউদ্দিন আলী’র সুর সঙ্গীতে ‘আমরা দু’জন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন কুমার বিশ্বজিৎ। এরপর অসংখ্য আধুনিক গানে এবং চলচ্চিত্রের গানে কুমার বিশ্বজিৎকে পেয়েছে এদেশের গানপ্রেমী শ্রোতা দর্শক। সঙ্গীতে তিনযুগ দাপুটের সাথে পদচারণা করে চলেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি গান গেয়ে চলেছেন।


সঙ্গীতে দীর্ঘ তিনযুগ পার হওয়া প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। বাবার ইচ্ছে ছিলো যে আমি যেন ব্যবসায় মনোযোগ দেই। কিন্তু আমার মায়ের কারণেই আমার আজকের এই অবস্থানে আসা। মায়ের এই ঋণ কোনভাবেই কোনকিছু দিয়ে শোধ করার নয়। এই চিন্তা করাও যেন পাপ। আমি বিশেষত কৃতজ্ঞ আমার প্রথম সুপার হিট তোরে পুতুলের মতো করে’র গানের গীতিকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন, সঙ্গীত পরিচালক নকীব ভাই, প্রথম প্লে-ব্যাক’র সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী ভাইয়ের প্রতি। এরপর অনেক সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকারের গান আমি গেয়েছি। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি সঙ্গীতাঙ্গনে আমার আজকের অবস্থানের পিছনে যখন যেখানে গিয়েছি সেখানে ছোট্ট কোন কাজেও যারই সহযোগিতার হাত পেয়েছি আমি, তার প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার দোয়া, ভালোবাসা, সহযোগিতায় আমি আজকের কুমার বিশ্বজিৎ। আমার ছোট্ট এই জীবনে আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে আমি যা দিয়েছি প্রতিদানে দর্শকের কাছ থেকে আমি বহুগুন পেয়েছি। সঙ্গীত যদি মহাসমুদ্র হয় আমি তীর তো দূরের কথা বালুচরেরও দেখা পাইনি আজো।’


পিএ কাজল পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি কন্ঠশিল্পী ও সুরকার হিসেবে এবং মোস্তফা কামাল রাজের ‘প্রজাপতি’ চলচ্চিত্রে কন্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।


বিবার্তা/অভি/কামরুল


ছবি: মোহসীন আহমেদ কাওছার

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com