ঢালিউডের বাতাসে যখন চিত্রনায়ক শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের ফের মিলে যাওয়ার গুঞ্জন, তখনই সেই গুঞ্জনে আরও ঘি ঢেলে দিলেন এই দুই তারকার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মামুনুজ্জামান মামুন। যিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটির বিয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অপু বিশ্বাসকে এখনও ‘শাকিবের বৈধ বউ’ বলে মন্তব্য করেছেন মামুন। শুধু তাই নয়, শাকিব-অপুর এখনও ডিভোর্স হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মামুন তার স্ট্যাটাস লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে গত দুইদিন যাবত শাকিব ভাই ও অপু বিশ্বাস দিদিকে নিয়ে মিডিয়ায় তুমুল কাণ্ড শুরু হয়েছে। এখন মূল কথা হচ্ছে, এত দুর থেকে শাকিব ভাইয়ের একমাত্র কলিজার টুকরা সন্তান আমেরিকা আসছে, আর শাকিব খান তার সন্তানকে দুরে রাখবে সেটা কি হয়? অপু বিশ্বাস দিদি শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ৯ বছর সংসার করেছে। শাকিব ভাইয়ের বাবা-মা বউ হিসাবে অপু বিশ্বাসকে মানে, নাতি হিসাবে জয়কে মানে। এর বাহিরে তারা কিছু মানতে নারাজ।’
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘এখন একজন মানুষ লোক দেখানো মায়াকান্না করে কিছু টাকা-পয়সা নেওয়ার জন্য। সে কি কখনো এক ঘন্টার জন্য শাকিব ভাইয়ের বাসায় তার বাবা-মায়ের সাথে সংসার করছে? শাকিব ভাইয়ের অফিস রুমে বাচ্চা নিয়ে গেছে? গোপনে ছবি তোলার জন্য দুইজন লোক নিয়ে গেছে। আঁকাবাঁকা সেই ছবি ফেসবুকে ছেড়েছে। অপু বিশ্বাস এখনও তার বৈধ স্ত্রী। এখনও সারাদেশের মানুষ চায় তাদের রাগ অভিমান ভেঙে এক হয়ে যাক। দশজন যেদিকে থাকে, সৃষ্টিকর্তার রহমতও সেদিকে থাকে।’
মামুন লেখেন, ‘একজন বউ দাবি করে, তার কাবিননামা তো আজঅব্দি কোনো সাংবাদিক ভাইকে দেখাতে পারলো না। অপু বিশ্বাসের কাবিননামা জমির দলিলের মতো সিন্দুকে আটকানো আছে। অপু বিশ্বাস এখনও শাকিব খান ভাইয়ের বৈধ বউ। ১৩ বছরের ইতিহাস আমার কাছে জমা আছে। দুইজনের বিয়ে কাজির মাধ্যমে আমি দিয়েছি। সবাই মনে রাখবেন, শাকিব ভাইয়ের পিতা-মাতা, সন্তান জয়, বোন মনি আপা এবং অপু বিশ্বাস দিদি এই নিয়ে তার নতুন পৃথিবী।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন শাকিব খান, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও তাদের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়। মার্কিন মুলুকে একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে তাদেরকে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]