জনপ্রিয় সঙ্গীত আয়োজন কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনে ‘বুলবুলি’ গান গেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ঋতুরাজ বৈদ্য।
এপ্রিলে এ গায়ককে মদ্যপ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। সেই মামলার তদন্ত শেষে ঋতুরাজকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
২৬ জুন, সোমবার আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১২ জুন আদালতে মামলার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. এছকান্দার আলী সরদার এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমানকে তার চালক অতুল চন্দ্র মন্ডল গুলশানে নিয়ে যান। গুলশানের রুপায়ন টাওয়ারের সামনে মেইন রাস্তার পাশে গাড়িতে বসে ছিলেন অতুল চন্দ্র। এমন সময় ঋতুরাজ মদ্যপ অবস্থায় হেঁটে গাড়ির সামনে এসে গতিরোধ করেন এবং গাড়ি সরাতে বলেন। গাড়ি সরাতে দেরি করলে ঋতুরাজ উত্তেজিত হয়ে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় সরকারি গাড়ির ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড, গাড়ির বামপাশের লুকিং গ্লাস, বাঁ দিকের হেডলাইট ভেঙে ফেলেন। ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড দিয়ে অতুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি মাথা সরিয়ে ফেলে। তখন ঋতুরাজ তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি, লাথি মেরে জখম করেন। সেই সঙ্গে কাছে থাকা তিন হাজার ২৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঋতুরাজ চলে যান।
এ ঘটনায় গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হোসনে মোবারক বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরদিন ১৮ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওইদিন গুলশান থানায় সচিবের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ঋতুরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চালক অতুল চন্দ্র মণ্ডল বাদি হয়ে এ মামলা করেন। পরবর্তীতে গত ২৫ এপ্রিল মাদকের মামলায় এবং ৩০ এপ্রিল মারধর ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। বর্তমানে ঋতুরাজ জামিনে রয়েছেন।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]