রাজ-পরী ও সুনেরাহ ইস্যু যখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে রূপ নিল, সেই সময় এ ইস্যুতে কথা বললেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমার নায়িকা পরীমণিকে আমি ইনোসেন্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট বলে মনে করি।’
‘পরীমণি স্বামী রাজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন যে রাজ তার গায়ে হাত তোলেন এবং অতিষ্ঠ হয়ে তিনি রাজকে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছুদিন পর অবশ্য পরীমণি আপস করেছেন। আবার সেই স্বামীর সঙ্গেই বাস করতে শুরু করেছেন।’
তিনি লেখেন, ‘রাজের নায়িকা-বান্ধবীদের সঙ্গে কিছু ভিডিও রাজের ফেসবুক থেকে ভাইরাল হওয়ার পর পরীমণির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অনেকে। কিন্তু পরীমণি রাখঢাক না করে এবার জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ তার সঙ্গে গত দশদিন যাবত থাকছেন না। অর্থাৎ খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজের ফোন পরীমণির নাগালের বাইরে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আরও একটি তথ্য ফাঁস করেছেন পরীমণি, তা হলো রাজ এখন থাকছেন সুনেরাহ নামের এক নায়িকার সঙ্গে। কী হবে না হবে তা না ভেবে পরীমণি অপ্রিয় কিছু সত্য বলে ফেলেন, এ কারণেই তাকে আমার ভিড়ের বাইরের মানুষ বলে মনে হয়। অনেকটাই আলাদা।’
এ লেখিকা লেখেন, ‘পরীমণি বলেছেন রাজকে তার জীবন থেকে ছিনিয়ে নেয়ার দায় সম্পূর্ণই সুনেরাহর। তিনি সুনেরাহকে ভৎসর্না করলেন। আমি অবাক হলাম, রাজ যদি তার স্ত্রীকে ঠকিয়ে থাকেন, স্ত্রীকে চিট করে অন্য কারও সঙ্গে জীবন-যাপন করেন, তা হলে দোষ রাজের না হয়ে অন্যের হবে কেন? পরীমণি রাজকে দোষ দিলেন না। তিনি দোষ দিলেন সুনেরাহকে, মেয়েটিকে।’
সবশেষ তসলিমা লেখেন, ‘অধিকাংশ মেয়েই পুরুষের দোষ দেখতে পান না। সমস্ত অঘটনের মূলে তারা মনে করেন আছে মেয়েরাই। পরীমণিও তাই করলেন। ভিড়ে মিশে গেলেন।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]