এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা: ফারুকী
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৫১
এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা: ফারুকী
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডনেশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বিতর্কিত পোস্ট দেখে অনেকের মতো নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীরও মন খারাপ। ১৬ এপ্রিল, রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগে অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে অন্য এক পোস্টে বিদ্যানন্দের প্রশংসা করেছিলেন এই নির্মাতা।


রবিবার রাতে সম্প্রতি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনোভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না। এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কি না, সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজম্যান্টের ওপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি। তারপরও স্বাভাবিক কারণেই তাদের এই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে অন্য সবার মতো, যারা বিদ্যানন্দের চ্যারিটি কাজ দেখে তাদের প্রশংসা করতাম আরও ভালো করার জন্য, আমারও মন খারাপ!’
ফারুকী আরও লেখেন, ‘বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যারা বিদ্যানন্দকে আতশী কাচের নীচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এটাকে যেন একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিল, ভালো লেগেছিল, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহূর্তও দেরী করব না। অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখব। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের ত্রিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে। কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই। বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কি না। আপনাদের কাছেও যেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেন বিড়ালকে জাজ না করি আমরা। ধন্যবাদ।’
বিবার্তা/মোবারক

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com