ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত হওয়ায় বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

২৬ জানুয়ারি, শুক্রবার এক অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য বলেন, ‘উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই গুণী সংগীতশিল্পীকে ভারতের সম্মাননা প্রদান রবীন্দ্রসংগীত চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরীর দীর্ঘ সময় ধরে রবীন্দ্রসংগীত চর্চার এই স্বীকৃতি তাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে বলেও মনে করেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এবার পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন। এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর ভারত সরকার ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস সামনে রেখে প্রতি বছর পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। সাধারণত মার্চ বা এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠান করে পুরস্কারগুলো তুলে দেওয়া হয়।

সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান তিনি। শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নেন।

বিবার্তা/সউদ