বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে বই বিতরণ উৎসব করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ অনুষ্ঠানে রয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তবে জাতীয় নির্বাচনের কারণে মাধ্যমিক স্তরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসব পালন করছে না। স্থানীয়ভাবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়গুলোতে বই উৎসব পালন করা হচ্ছে।

এদিকে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো সোমবার (১ জানুয়ারি) প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৪ সকাল ১০টা থেকে চলবে বিকেল পর্যন্ত ।

এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। আর নতুন বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন এই শিক্ষাক্রম ২য়, ৩য়, ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চালু হবে। আর ২০২৫ সালে এটি ৪র্থ, ৫ম ও ১০ম শ্রেণিতে চালু হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে উচ্চমাধ্যমিকে।

২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসরণে সকল ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ আকর্ষণীয় নতুন পাঠ্যপুস্তক দিয়ে আসছে সরকার। শিশুদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙের আকর্ষণীয় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিকস্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। পরিমার্জিত কারিকুলামে বর্তমান বিশ্ব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

বিবার্তা/মাসুম