
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জয়শ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন মন্টু সংবাদ সম্মেলন করে তাঁকে জড়িয়ে পোস্টার করে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
২৯ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে ইকবাল হোসেন মন্টু উপজেলা সদরের বিজয় -২৪ চত্বর এলাকার চৌধুরী মার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করে অপপ্রচারের জন্য একই ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন রানাকে দায়ী করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে থাকতে না পেরে ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে জাহাঙ্গীর হোসেন রানা এমনটি করেছে বলে দাবি করেন ইকবাল হোসেন মন্টু।
জয়শ্রী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের জনগণের ব্যানারে সম্প্রতি মন্টুর বিগত দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ছবি সংবলিত রঙিন পোস্টার সাঁটানো হয়েছে উপজেলা পরিষদ এলাকার বিভিন্ন দেয়ালে। ওইসব ছবির ক্যাপশনে বিগত সরকারের উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণ এবং জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ও আওয়ামী লীগ মনোনীত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে ইকবাল হোসেন মন্টুর সম্পৃক্ততা বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই পোস্টারে ইকবাল হোসেন মন্টুকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী উল্লেখ করে তাঁকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের দাবী জানানো হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মন্টু বলেন, সম্প্রতি জয়শ্রী ইউনিয়নসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রানা আওয়ামী লীগ ঘরানার হওয়ায় তাকে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে রাখা হয়নি। এছাড়াও রানা গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা আমার বিভিন্ন ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পোস্টার ছাপিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন রানা বলেন, আমি কোনো পোস্টার ছাপাইনি। আমাকে অযথাই দোষারোপ করা হচ্ছে। আমার ছবি এডিট করে আওয়ামী লীগ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির রাজনীতিতে আমি সক্রিয়।
বিবার্তা/শহীদুল/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]