নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. দিদার-উল আলমের চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু নথি আগুনে পোড়ানো হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও এভাবে নথি পোড়ানো ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত করে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, পুড়িয়ে ফেলা নথি অপ্রয়োজনীয়।
রবিবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র জড়ো করে আগুন দেয়া হয়। এ সময় সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, ট্রেজারার নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিবার্তাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্দিষ্ট সময় পরপর নিয়ে গিয়ে সমপরিমাণ কাগজ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটা না করে এভাবে পুড়িয়ে ফেলার মানে কী? নিঃসন্দেহে এখানে কর্তৃপক্ষের কোন অনিয়মের নথি রয়েছে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বিবার্তাকে বলেন, এটা আমাদের রুটিন কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রয়োজনীয় কাগজের বিষয়ে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। বিভিন্ন শাখা আবেদন করেছে তাদের এখানে রাখার জায়গা নাই। পরে এই বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের একটি সভা হয় আর সেখানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আর সেই কমিটির উপস্থিতিতে কাগজ পোড়ানো হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল আলমকে বিবার্তার পক্ষ থেকে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ১২ জুন চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ পান ড. মো. দিদার-উল-আলম। গত ১২ জুন তার মেয়াদের শেষ দিন ছিল। কিন্তু তার আগের দিন অর্থাৎ ১১ জুন এই ঘটনা ঘটায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
এদিকে এই উপাচার্য দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগও এসেছে দফায় দফায়। রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে বাধার অভিযোগও।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি একই ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]