শিরোনাম
মোংলা বন্দরে কেন ভিন্ন নিয়ম
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:২৫
মোংলা বন্দরে কেন ভিন্ন নিয়ম
প্রিন্ট অ-অ+

বর্তমান সরকার মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বাড়াতে ২০১১ সালে একটি নির্দেশনা জারি করে। তাতে সরকারিভাবে আমদানি করা মোট ভোগ্যপণ্য ও সারের ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দরে খালাস বাধ্যতামূলক করা হয়। মোংলা বন্দর সচল করতে সরকার গাড়ি আমদানি ও রাখার ট্যারিফ বা মাসুলও চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে অনেক কমিয়ে দেয়। এতে বেশ সুফল মিলেছে। নির্দেশনাটি এখনো কার্যকর আছে।


ওই নির্দেশনার পর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জাহাজ আসা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বেড়ে যায় বহুগুণ। এর ফলে ওই এলাকা ঘিরে তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর সেই কর্মচাঞ্চল্য হাজার গুণ বেড়ে যাবে - এটা নিশ্চিত।


একটি জাতীয় দৈনিক সোমবার খবর দিয়েছে, এমন সম্ভাবনার মধ্যেই গত ৩০ অক্টোবর একটি সার্কুলারের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের ট্যারিফ নতুন করে নির্ধারণ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মাসুলের হার আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। ফলে এখন মোংলা বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য নামাতে চট্টগ্রাম বন্দরের চার গুণ বেশি খরচ পড়ছে। বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। এতে মোংলা বন্দরের পুরো সক্ষমতা কাজে লাগানোর বিষয়ে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের সুফল মিলছে না।


আমরা বুঝতে পারি না, কী এমন মহৎ উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এমন একটি নিয়ম চালু করলো। চট্টগ্রাম ও মোংলা - দু'টিই একই দেশের দু'টি বন্দর। তাহলে কেন এ ভিন্ন নিয়ম? সাদা চোখে এর একটাই কারণ ধরা যায়, মোংলা বন্দরকে দুর্বল করে সরকারের একটি ভালো উদ্যোগকে বিফল করে ফেলা। এ ছাড়া এরকম একটি সৃষ্টিছাড়া আদেশের আর কোনো অর্থ হতে পারে না।


পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেই যে বন্দরকে কেন্দ্র করে খুলে যাবে অমিত সম্ভাবনার দ্বার, সে বন্দরকে ব্যয়বহুল করার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের দূরে ঠেলে দেয়ার এ প্রক্রিয়াকে আমরা কোনোভাবেই সুস্থ ও স্বাভাবিক বলতে পারছি না।


আশা করছি, মোংলা বন্দরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সব ব্যবস্থা সরকার নেবে এবং তা অবিলম্বেই।

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com