
কুড়িগ্রামে চিলমারীতে কয়েকদিন থেকে হিমেল হাওয়া ও বাতাসে ভোগান্তি বাড়ছে চরাঞ্চলসহ গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষদের। এ উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পৌষমাস না আসতেই শীতের এই তীব্রতায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা বাড়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।
রমনা মডেল ইউনিয়নের শরীফের হাট সদর এলাকার ঘোড়া গাড়িচালক মোঃ এচাহক আলী মিয়া (৬০) বলেন, কি করমো বাহে ঠান্ডা তো দিন দিন বাড়ছে। বাতাস ও কুয়াশার কারণে গাড়ি চালাইতে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাত-পা বরফ হয়ে আসে। গাড়ি না চালাইলে পারবে পেটে দেমো কি।
নয়ারহাট ইউনিয়নের কৃষক মাহাফুজার রহমান (৪৩) বলেন, এখন ভুট্টা ও সরিষা আবাদের মৌসুম। কিন্তু সকালে খুব ঠান্ডা থাকে তাই ঘর থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন হয়। আবার কাজ না করলে তো সংসার চলবে না। তাই কাজ করার জন্য বের হইছি। কাজ না করলে খামু কি বউ বাচ্চায় বা কি খাইবো।
চিলমারীর কাপর ব্যবসায়ী শ্রী জয় চন্দ্র বলেন, শীত পুরোপুরি না আসতেই প্রতিনিয়তই বেশ কম্বল ও জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। তবে আরো বেশি শীত পড়লে সামনের সপ্তাহে কেনাবেচা আরো বাড়বে বলে মনে করেন এই কাপর ব্যবসায়ি।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ শুক্রবার জেলায় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শীতের ঘনত্ব ও তীব্রতা আরো বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
বিবার্তা/রাফি/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]