
ভৌগোলিক অবস্থান আর দীর্ঘ শীত ঋতুর নগরী খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শ্বেত শুভ্র বসনে রূপের পেখম মেলে ধরেছে মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোরের আকাশে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রতিদিনই দেখা মিলছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এ পর্বত শৃঙ্গের। প্রতিবেশি দেশ ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ সৌন্দর্য একনজর উপভোগ করতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন ভীড় করছেন দেশের উত্তরের প্রবেশদ্বাড় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
সূর্যের সোনালী আলোকছটায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এসময় যেন তার রুপের পেখম মেলে ধরে বাহারি রংয়ের উৎসবে মেতে উঠছে। সূর্য কিরণের ওঠা নামার সাথে সাথে বর্ণিল হয়ে ওঠে পর্বতশৃঙ্গের রং বদলের খেলা।
কখনও শ্বেত শুভ্র, কখনও সোনালী, কখনও ধূসর আবার কখনও নীলাভ বর্ণ ধারণ করা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের শুধু বিমোহিতই করছে না রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। সচরাচর প্রতিবছর মধ্য নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দেখা গেলে এবার সেপ্টেম্বরেই দেখা মিলেছে পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৫ শ ৮৬ মিটার উচ্চতার কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় রূপ লাবন্য একনজর দেখতে এরই মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশীয় পর্যটক আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এ সংখ্যা।
আগত পর্যটক ও স্থানীয়রা জানান, জেলার যে কোন প্রান্ত থেকে দেখা মেলে মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘার। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে অনেক পরিস্কারভাবে দেখা মিলছে পার্সপোর্ট ভিসা ছাড়াই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশি দেশে থাকা অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে মুগ্ধ তারা। ধরার বুকে প্রকৃতি এতটা অপরূপ সেটা অনুভব করা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখে।
এদিকে পর্যটকদের থাকা, চলাফেরা নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করতে টুরিস্ট পুলিশ আন্তরিক ভাবে কাজ করছে বলে জানালেন তেতুঁলিয়া টুরিস্ট পুলিশের এ এস আই রাব্বুল। তিনি বলেন, সুর্য ওঠার পূর্বমুহুর্ত থেকে গভির রাত পর্যন্ত ডাকবাংলো এলাকা, আশে পাশের এলাকা, বাজারসহ বিভিন্ন হোটেল, মোটেলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকের কোন সমস্যা না হয়।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর শীত ঋতুতে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া ভ্রমনে আসা পর্যটকদের সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
ইতিমধ্যে আমরা একটা সফটওয়্যার ডেপলভ করেছি।। এখানে যে আবাসিক হোটেলগুলো রয়েছে সেই সফটওয়্যারে আওতায় এনেছি। যাতে বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা অনলাইনে মাধ্যমে
হোটেলে তাদের সিট বুকিং দিতে পারে। পর্যটন এরিয়ায় ভ্রমনের জন্য যানবাহন চালকদের পর্যটন কার্ড করে দিয়েছি যাতে পর্যটকদের কোন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে না হয়। এছাড়া ডাকবাংলো এলাকায় ও তেঁতুলিয়া বাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে দুটি টুরিস্ট পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিবার্তা/গোফরান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]