
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে গরিব অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য ঋণ দেয়ার কথা বলে গ্রাহকের সঞ্চয়ের অন্তত ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইডিএফএন সংস্থা নামের একটি ভুয়া এনজিওর বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভুক্তভোগীরা ঋণ নিতে অফিসে গেলে তালা ঝুলানো দেখতে পান এবং মোবাইল ফোনে কল দিলে এনজিও কর্মীদের ফোন বন্ধ পান। এক সময়ে তারা বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে। প্রতিকার পেতে ওই দিন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তারা। এদিকে প্রশাসন বলছেন, থানায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী রোমানা, আমিনুলসহ কয়েকজন বলেন, উপজেলার সাতকুড়ি বাজারে একটি অফিস নিয়ে আই ডি এন এফ সংস্থা নামের একটি এনজিও গড়ে তোলেন। মাত্র ৫ শতাংশ হারে দু,বছর মেয়াদি ঋণ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সমিতি করেন এবং কমপক্ষে এক লাখ করে ঋণ দেওয়া হবে জানিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা সঞ্জয় আদায় করেন এবং বলেন রবিবার বিকালে ঋণ বিতরণ করা হবে। কিন্তু ঋণ প্রত্যাশীরা এসে দেখেন অফিসে তালা ঝুলছে।
আশপাশের লোকজন জানায়, সকাল থেকে ওই অফিস তালাবন্ধ। অফিসের লোকের নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তাদের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তারা বুঝতে পারেন তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারণার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রতিকার পেতে ৭৯ জনের ৪ সমিতির সভাপতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অফিসের বিল্ডিং মালিক রিয়াজুল আলম জানান, আইডিএফএন সংস্থা নামের এনজিওর দুই ব্যক্তি চলতি মাসের ৩ তারিখে ভাড়া নিতে আসেন। এবং মাসিক ৬ হাজার টাকা মৌখিক ভাড়া চুক্তি হয়। লিখিত চুক্তি করতে চাইলে চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকা থেকে বড় স্যার আসবে তখন লিখিত চুক্তি করার কথা জানান। রোববার সকাল থেকে দেখি অফিসে তালা ঝুলছে। মনে করেছিলাম তারা ফিল্ডে গেছে। বিকেলে শুনি তারা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঢাকা নিয়ে পালিয়েছে।
ভুক্তভোগী উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় সমিতি খোলা হয়েছিল। ঋণ দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছে থাকা ১০-২০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা নিয়েছে। এখন তারা উধাও। তাদের মুঠোফোনে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
হাকিমপুর থানা ওসি নাজমুল হক জানান, ঋণ দেওয়ার কথা বলে আইডিএফএন সংস্থা নামের একটি এনজিও সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ৪ টি সমিতির সভাপতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সমিতির সভাপতিদের দেওয়া তথ্যমতে ৭৯ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা প্রতারণার শিকার হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে এনজিও ম্যানেজার মাজহারুল ও মাস কর্মীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাদের নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
বিবার্তা/রব্বানী/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]