
ঢাকার কারওয়ানবাজারে অতিরিক্ত উপকমিশনার পদের এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
১২ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. সুমন রেজা, তিনি ডিএমপির ‘প্রোটেকশন বিভাগে (বঙ্গভবন নিরাপত্তা)’ দায়িত্বরত।
নির্ধারিত দায়িত্বের আওতায় না হওয়া সত্ত্বেও ছিনতাইকারী দেখে ‘নিজ তাড়নায়’ গাড়ি থেকে নেমে এই পুলিশ কর্মকর্তার এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডিএমপি।
এ ঘটনাকে ‘দায়িত্ববোধ ও সাহসিকতার পরিচয়’ হিসেবে তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “মহানগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তায় অপরাধের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সুমন রেজা।”
ডিএমপি বলছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রেজা-ই-আলম দস্তগীর এক ‘ছিনতাইকারীর’ হাতে ছুরি দেখে তাকে আটক করতে যান।
তখন ‘ছিনতাইকারী’ মেট্রোরেল স্টেশনের নিচ দিয়ে দৌঁড়ে কারওয়ান বাজারের দিকে পালাতে থাকেন। সেই সময় কারওয়ান বাজার থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ কর্মকর্তা সুমন রেজা তাকে আটকের চেষ্টা করেন।
‘ছিনতাইকারী’ তখন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে সুমন রেজাকে আঘাত করেন। ছিনতাইকারীর আঘাতে এডিসি সুমন রেজার ডান হাতের মধ্যমাংশে ‘অনেকটা’ কেটে যায় এবং ‘ছিনতাইকারী’ পালিয়ে যায় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এডিসি সুমন রেজার এই ‘সাহসিকতা ও দায়িত্ববোধ’ পুলিশ বাহিনীর সকলের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলেও মনে করছে ডিএমপি।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, “স্যার গাড়িতে ছিলেন, তিনি গাড়ি থেকে যখন দেখলেন বিপরীত দিক থেকে পুলিশ দৌড়াচ্ছে আর সামনে ছিনতাইকারী। তখন স্যার গাড়ি থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধরতে গেলে স্যারের হাতে পোচ দিয়ে সে পালিয়ে যায়।”
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]