
পিরোজপুরের জিয়ানগর ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার হাজারো মানুষের দুর্ভোগের নাম এখন ঘোষেরহাট সেতু। ঘোষের হাট খালের ওপর সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দুই বছর ধরে। যানবাহন চলাচল বন্ধ। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা কাঠের গুঁড়ি আর বাঁশের সাহায্যে অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে পারাপার করছেন। সেই সাঁকোই এখন জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, ঘোষের হাট বাজার সংলগ্ন সেতুটি দুই বছর আগে বালুবোঝাই জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। এরপর আর নতুন সেতু নির্মাণ হয়নি।
স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে একাধিকবার বাঁশের সাঁকো বানালেও সেটি টিকছে না। সম্প্রতি কাঠের গুঁড়ি দিয়ে সরুপুল বানিয়ে হাঁটাচলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে একটু বেশি ভিড় হলেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে দুই উপজেলার সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জিয়ানগর থেকে মোরেলগঞ্জ যেতে এখন ঘুরপথে অন্তত ১৫ কিলোমিটার বাড়তি যাত্রা করতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুই-ই বাড়ছে।
চড় হোগলাবুনিয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. সবুজ উদ্দিন হতাশার বলেন, আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সবজি, তরিতরকারি কিনে গাড়িতে করে ঘোষের হাটে নিয়ে বিক্রি করতাম। এখন গাড়ি পথ নেই, তাই ব্যবসা প্রায় গুটিয়ে ফেলেছি। কারণ বিকল্প পথে যেতে দ্বিগুণ খরচ।
২৩নং ঘোষেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী রমিজ উদ্দিন বলেন, ভাঙা সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসে। এ অবস্থায় তারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না।
ঘোষের হাট বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ সিকদার বলেন, এলজিইডি কয়েক বছর আগে সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি। বাজার ব্যবসায়ীদের খুবই সমস্যা সম্মুখিন হতে হয় ।
ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন বলেন, প্রকৌশল দপ্তর থেকে আমাকে সাইনবোর্ড টানানোর কথা বলেছেন। বিষয়টি বাজার কমিটিকে জানিয়েছি। সেতুটি পুনর্র্নিমাণের জন্য বরাদ্দ পেতে চেষ্টা চলছে।
ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কোনো প্রকল্প হাতে নেই। প্রকল্প অনুমোদন হলে বরাদ্দ দেওয়া হবে ।
বিবার্তা/শামীম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]