
হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা আদেশ লঙ্ঘন করে চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের ঢালী বাড়ি ও তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী আলহাজ হারুন মিয়ার বসতবাড়ি উচ্ছেদের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু কালু হাওলাদার ও শাহাদাত হাওলাদারের বিরুদ্ধে। ১৪ আগস্ট, বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঢালী বাড়ির পরিবার সদস্য ও তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী আলহাজ্ব হারুন মিয়ার পরিবারের সদস্যদের দাবি, সম্পূর্ণ পেশীশক্তি ব্যবহার করে, হাইকোর্টের স্থিতিবস্থার আদেশের কপি প্রদর্শনের পরও অগ্রীম কোনো নোটিশ না দিয়ে দুটি পরিবারকে নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভেক্যু দিয়ে সম্পূর্ণ বাড়ি মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এ সময় বাড়ির পুরুষ সদস্যগণ যার যার কাজে বাড়ির বাইরে ছিল। পুরুষ সদস্যরা খবর পেয়ে এই অবৈধ উচ্ছেদের বাধা দিতে আসতে আসতে ভেক্যু দিয়ে দুটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে ভূমিদস্যু কালু হাওলাদার ও শাহাদাত হাওলাদার।
ঢালী বাড়ির বাসিন্ধা ফারুক ঢালীর ভাষ্য, উচ্চ আদালতের স্টেটাসকো (স্থিতাবস্থা) আদেশ গোপন করে নিম্ন আদালতের একটি ভিন্ন আদেশ বলে কোনো রকম অগ্রীম নোটিশ না দিয়ে দুটি বাড়ির বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভেক্যু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ভূতিদস্যু কালু হাওলাদার ও শাহাদাত হাওলার গংয়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। লুটপাট করেছে বসতঘরের সব আসবাব, ঘটিবাটি, চাল-ডাল, কাপড়, নগদ টাকা, সোনার গয়না, বৈদ্যুতিক পণ্য থেকে শুরু করে বাড়ির ধ্বংসের কারণে বের হয়ে আসা রডগুলোও। তাদের পেশীশক্তির কারণে আমি আমার পরিবারসহ নিজ বাড়িতে এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।
বাড়ির বাসিন্দা হুমায়ুন ঢালী জানান, ৪৫ বছর যাবৎ দুই পুরুষ ধরে এই জায়গায় বসবাস করে আসছি। জায়গাটুকুতে নজর পড়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কালু হাওলাদার ও শাহাদাত হাওলার গংয়ের। প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নানাভাবে আমাদের জায়গা থেকে সপরিবার উচ্ছেদের চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে তিনি উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ থাকার পরও আমার বাড়ি ভেক্যু দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এ সময় বাড়ির আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সরানোর কোনো সুযোগ অথবা সময় দেয়া হয়নি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, অস্ত্রধারী ৫০ থেকে ৬০ বিএনপির নেতা-কর্মী পরিচয়ে বসতবাড়িতে হামলা ও লুটতরাজ শুরু করে। হামলার সময় আমি বাসায় ছিলাম না। হামলাকারীরা বাসায় এসে তাণ্ডব শুরু করে। এ সময় তাদের হাত থেকে বাড়ির আবাল, বৃদ্ধ কেউই রক্ষা পায়নি। প্রাণভয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা দিনভর এই তাণ্ডব চালালেও দেখার কেউ ছিল না তখন।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]