মুক্তির মন্দির সোপান তলে, কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে। বাংলাদেশের নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে, স্বাধীনতার সূর্য উদয়ের দু’দিন বাকি। বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করার জন্য একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর এক বিভিষিকাময় ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে, তাদের পরাজয় নিশ্চিত, এদেশের স্বাধীনতাকে আর ঠেকানো যাবে না । এমন সময় পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা এদিন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অধ্যাপক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ নানা পেশাজীবীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী, ৯ সাহিত্যিক ও শিল্পী, পাঁচ প্রকৌশলী এবং অন্যান্য পেশার দুজন ।
মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে স্বাধীন বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলার সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, এই পৈশাচিক হত্যার পরিকল্পনার মূল হোতা বা মাস্টারমাইন্ডের ভূমিকায় ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনার সঙ্গেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
পাকিস্তানি সেনারা অপারেশন চলাকালে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষককে ২৫ মার্চ রাতেই হত্যা করা হয়। তবে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ব্যাপক অংশটি ঘটে যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুদিন আগে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের প্রশিক্ষিত আধাসামরিক বাহিনী আলবদর ও আল-শামস বাহিনী একটি তালিকা তৈরি করে, যেখানে স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বঙ্গভবন থেকে এ বিষয়ে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলির নিজ হাতে লিখিত একটি ডায়েরি পাওয়া যায়। এ ডায়েরিতে অনেক নিহত ও জীবিত বুদ্ধিজীবীর নাম পাওয়া যায়। আইয়ুব শাসনামলের তথ্য সচিব আলতাফ গওহর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফরমান আলির তালিকায় তার বন্ধু কবি সানাউল হকের নাম ছিল।
আলতাফ গওহরের অনুরোধে রাও ফরমান আলি তার ডায়েরির লিস্ট থেকে সানাউল হকের নাম কেটে দেন। এ ছাড়া আলবদরদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন বলে তার ডায়েরিতে একটি নোট পাওয়া যায়।
এদিকে বিমান আক্রমণের ফলে ঢাকার ট্রান্সমিটার কয়েক দিন আগেই অচল হয়ে পড়ে। ইয়াহিয়ার অনুমতি লাভের পর লে. জে. নিয়াজি কয়েকটি শর্তসংবলিত যুদ্ধবিরতির এক প্রস্তাব ভারত সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য মার্কিন কনসাল জেনারেল স্পিভাককে অনুরোধ জানান। স্পিভাক বার্তাটি দিল্লি না পাঠিয়ে ওয়াশিংটনে পাঠান। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ এই বার্তা দ্রুত পৌঁছালে ঢাকার বন্দি কিছু বুদ্ধিজীবীসহ অনেকের প্রাণ রক্ষা পেত।
তৎকালীন আলবদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে পৈশাচিকতার পরিচয় দেন। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার মোহাম্মদপুর শারীরিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ক্যাম্প স্থাপন করে। এ ক্যাম্পে রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্রসংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ নিয়মিতভাবে ওই ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেখভাল করতেন। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী নানা অপরাধের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র করতেন বলেও প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ১০ ডিসেম্বর থেকেই বুদ্ধিজীবী নিধনসহ গণহত্যার মতো পৈশাচিক ঘটনা সংঘটিত হয়।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জঘন্যতম ইতিহাসের নীরব সাক্ষী রায়েরবাজার বধ্যভূমি। একাত্তরের শেষ দিকে বুদ্ধিজীবীদের ওপর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের নির্মম ও বর্বর হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী এই রায়েরবাজার।
ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে ঢাকায় নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়। ১০ তারিখ থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মূলপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় ১৪ ডিসেম্বর। এদিন প্রায় ২০০ বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এএনএম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেকে।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
২৫ মার্চ কালরাত্রি থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারা দেশে টার্গেট করে প্রায় দুই হাজার শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, আইনজীবী, ডাক্তার ও প্রকৌশলীকে হত্যা করে। কিন্তু ডিসেম্বরে এসে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল জাতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার নীলনকশা। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বরে ঢাকাতেই খুন হন প্রায় এক হাজার ১০০ জন।
যুদ্ধের পরও কয়েকজন শহিদ হন। তাদের মধ্যে প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান অন্যতম। বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের তুলে আনায় সহায়তা করে আলবদর ও আল-শামস বাহিনী। কারফিউ চলাকালে তাদের উপর অমানবিকভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় । স্বাধীনতার পর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে চোখ আর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অগণিত লাশ পাওয়া যায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মোট কতগুলো স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঠিক তালিকা নেই। বিভিন্ন সময়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেশের ৩৫টি চিহ্নিত বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি প্রায় ৯৪২টি বধ্যভূমি শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১১৬টি স্থানকে বধ্যভূমি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
রায়েরবাজার ও মিরপুর ছাড়াও ঢাকার তেজগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহাখালী টিবি হাসপাতালসহ আরও অনেক স্থানই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করে।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিপূর্ণ তালিকা করাও বেশ কঠিন, কারণ ঢাকাসহ সারা দেশেই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। তবে নামজানা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব (দর্শনশাস্ত্র), ড. মুনীর চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য), ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য), ড. আনোয়ার পাশা (বাংলা সাহিত্য), ড. আবুল খায়ের (ইতিহাস), ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি সাহিত্য), ড. সিরাজুল হক খান (শিক্ষা), ড. এএনএম ফাইজুল মাহী (শিক্ষা), হুমায়ুন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য), রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য), সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা), ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), এনএম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান), এ মুকতাদির (ভূবিদ্যা), শরাফত আলী (গণিত), এ আর কে খাদেম (পদার্থবিদ্যা), অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিদ্যা), এমএ সাদেক (শিক্ষা), এম সাদত আলী (শিক্ষা), সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য (ইতিহাস), গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস), রাশীদুল হাসান (ইংরেজি), এম মর্তুজা (চিকিৎসক), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. হবিবুর রহমান (গণিত বিভাগ), ড. সুখারঞ্জন সমাদ্দার (সংস্কৃত), মীর আবদুল কাইউম (মনোবিজ্ঞান), চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ), অধ্যাপক ডা. আলিম চৌধুরী (চক্ষুবিশেষজ্ঞ), অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আবদুল আলিম চৌধুরী, ডা. হুমায়ুন কবীর, ডা. আজহারুল হক, ডা. সোলায়মান খান, ডা. আয়েশা বদেরা চৌধুরী, ডা. কসির উদ্দিন তালুকদার, ডা. মনসুর আলী, ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা, ডা. মফিজউদ্দীন খান, ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. নুরুল ইমাম, ডা. এসকে লালা, ডা. হেমচন্দ্র বসাক, ডা. ওবায়দুল হক, ডা. আসাদুল হক, ডা. মোসাব্বের আহমেদ, ডা. আজহারুল হক (সহকারী সার্জন), ডা. মোহাম্মদ শফী (দন্ত চিকিৎসক), শহীদুল্লাহ কায়সার (সাংবাদিক), নিজামুদ্দীন আহমেদ (সাংবাদিক), সেলিনা পারভীন (সাংবাদিক), সিরাজুদ্দীন হোসেন (সাংবাদিক), আ ন ম গোলাম মুস্তফা (সাংবাদিক), আলতাফ মাহমুদ (গীতিকার ও সুরকার), ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (রাজনীতিবিদ), রণদা প্রসাদ সাহা (সমাজসেবক ও দানবীর), যোগেশ চন্দ্র ঘোষ (শিক্ষাবিদ, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক), জহির রায়হান (লেখক, চলচ্চিত্রকার), মেহেরুন্নেসা (কবি), ড. আবুল কালাম আজাদ (শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ), নজমুল হক সরকার (আইনজীবী), নূতন চন্দ্র সিংহসহ (সমাজসেবক, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক) আরও অনেকে।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে তুলে আনতে যারা সহায়তা করেছিলেন তাদের অনেককেই শহিদ পরিবারের সদস্যরা চিহ্নিত করেছিলেন। তার পরও এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ওইসব খুনিকে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি। এজন্য শহিদ পরিবারকে দীর্ঘসময় প্রতীক্ষা করতে হয়েছে। শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অনেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত হয়।
১৯৭২ সাল থেকে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মরহুম তাজউদ্দীন আহমদ ১৪ ডিসেম্বরকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার পর এসব হত্যাকারীরা বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রেও এসেছিল। এসময় মনে হতো দেশে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার হয়তো হবেই না। বর্তমান সরকার সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খুলে যায়। এ অপরাধে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রথম প্রাণদণ্ড কার্যকর হয় আলবদর নেতা যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদের। শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের এই বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলমান আছে।
আজ দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক কার্যক্রম বহুগুণে বেড়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান স্বজন অনুসারীরা আজ রাষ্ট্রের সকল জায়গায় ভালো অবস্থান অধিকার করে আছে। নানাভাবে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিকভাবে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দেশের মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়েও দিতে পারে নাই। এমন শত প্রতিকূলতার মাঝে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই এগিয়ে যাবার পথে আজও শহিদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের প্রেরণা হিসাবে কাজ করছে।
তাদেরকে স্মরণ করে আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধে চেতনার দেশগড়ারশপথনেবো।
লেখক: তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]