
তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন লিওনেল মেসি। শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতা পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরের বাইরে তখনো ভক্তদের ঢল। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনিতে তাকে হোটেলে নেওয়া হয়। শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়াম ও যুবভারতীতে যে উপচে পড়া ভিড় হবে তা বলার অপেক্ষা ছিল না।
ভক্তদের উন্মাদনা শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় অনুষ্ঠানটি। মাঝপথে স্থগিতও করা হয়। মাত্র ২০ মিনিট স্টেডিয়ামে ছিলেন মেসি। ভক্তরা ঠিক মতো দেখতে পাননি। এক ভক্ত ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, দূর থেকে ছোট্ট একটা পাখির মতো দেখা গেছে মেসিকে। অন্য এক ভক্ত জানিয়েছেন, বিয়ে ফেলে ছুঁটে এসেছেন মেসিকে দেখতে।
বিশ্বকাপ জয়ী তারকা মেসি সল্টলেক স্টেডিয়াম ছাড়ার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভক্তরা। ভাঙচুর শুরু করেন স্টেডিয়ামের ভেতর। চেয়ার উঠিয়ে ছুঁড়ে ফেলে তারা। ডাগআউটের ছাউনি ভেঙে ফেলেন। যেন সল্টলেক কোন প্রাকৃতিক দূর্ঘটনায় বিধ্বস্ত এক স্টেডিয়াম।
একইভাবে যুবভারতীয়তে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, এ ঘটনায় মেসিকে ভারতে আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মেসির পরবর্তী গন্তব্য হায়দরাবাদ। সেখান থেকে মুম্বাইয়ে হয়ে দিল্লি দিয়ে সফর শেষ করার কথা তার। শতদ্রু গ্রেপ্তার হওয়ায় সূচি অনুযায়ী পরবর্তী অনুষ্ঠানগুলো হওয়া নিয়ে এখন শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে বিশৃঙ্খলায় ব্যথিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, এমন অব্যবস্থাপনায় তিনি স্তম্ভিত এবং বিচলিত, ‘সল্টলেক স্টেডিয়ামের অব্যবস্থাপনায় আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। মেসিকে দেখার জন্য মাঠে হাজার হাজার দর্শকের জমায়েত হয়েছিল। আমি মাঝপথে ছিলাম। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমি মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তার ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছি।’
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]