
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
২৩ নভেম্বর, রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি জানান, দণ্ডিত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার এই চিঠি পাঠানো হয় বলে রোববার জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
চিঠি দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে দেওয়া হবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “পরশু দিন দেওয়া হয়েছে।”
গত সোমবার শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খাঁন কামালের হয় মৃত্যুদণ্ড। আর রাজসাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কারাদণ্ড হয় পাঁচ বছরের। এদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামাল ৫ অগাস্টের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
রায়ের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আবারও আহ্বান জানায়।সেদিন সচিবালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পনে ভারতকে ফের চিঠি দেওয়া হবে।একই পরিকল্পনার কথা তিনি শোনান রায়ের তিন পরও।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল— ওনাদের প্রত্যর্পণের জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি।
“পাশাপাশি ওনাদের প্রত্যর্পণ করার জন্য, যেহেতু ওনারা এখন দোষী সাব্যস্ত, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত, কাজেই আমরা মনে করি ভারতের এখন বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে তাদের ফেরত দেওয়ার।”
আইন উপদেষ্টার এ বক্তব্যের পরের দিনই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
হাসিনাকে ফেরাতে এর আগে ভারতকে অন্তর্বর্তী সরকার চিঠি পাঠায় গত ডিসেম্বরে; ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারকাজের শুরুতে।
এর মধ্যে বিচারকাজ শেষে রায় হয়ে গেলেও চিঠির কোনো জবাব দেয়নি ভারত সরকার।
ঢাকার পাঠানো চিঠির বিষয়ে গত মাসে এক প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছিলেন, আইনি বিষয়গুলো দিল্লি পর্যালোচনা করে দেখছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]