
চঞ্চল চৌধুরী যিনি মঞ্চ, টেলিভিশন, বড় পর্দা কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সব মাধ্যমেই দিয়েছেন নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ। শুধু তাই নয়, নিজ কণ্ঠে গান তুলেও মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের।
এদিকে, ওপার বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে সিনেমায় কাজের সুবাদে দুইজনের মধ্যে সুসম্পর্কে গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন ‘হাওয়া’ খ্যাত অভিনেতা চঞ্চল।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায় ভিডিও বার্তায় যুক্ত হন টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ। এ সময় চঞ্চলের অভিনয় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় প্রসেনজিৎকে। টলি অভিনেতার কথা শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন চঞ্চল। পাঠকদের জন্য প্রসেনজিৎ কথাগুলো তুলে ধরা হলো।
শুরুতেই হিন্দু ধর্মের রীতি অনুসারে সম্মান দেখিয়ে নমষ্কার জানান প্রসেনজিৎ। এরপর তিনি বলেন, আজকে আমি যে মানুষটিকে নিয়ে কথা বলতে চাই, সে মানুষটি আমার প্রাণের মানুষ, মনের মানুষ। তার নাম চঞ্চল চৌধুরী। ওর (চঞ্চল চৌধুরী) অভিনয় নিয়ে আলোচনা করার মতো যোগ্যতা আমি ব্যক্তিগতভাবে রাখি কি না আমি জানি না। ওকে (চঞ্চল চৌধুরী) আমি বড্ড ভালোবাসি। ওর (চঞ্চল চৌধুরী) অভিনেতা হিসেবে বেড়ে ওঠা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি।
কথার সূত্র ধরে তিনি আরও বলেন, আমি ওর প্রতিটি কাজই দেখে থাকি। আমার সঙ্গে ওর প্রথম আলাপ হয় ‘মনের মানুষ’ ছবিতে। গৌতম দা আমাকে বলেন যে চঞ্চল চৌধুরী রয়েছে। আমি তখন খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। আগেই ওর একটি ছবি সেটা খুব আলোড়ন তৈরি করেছিল, ‘মনপুরা’। সেই ছবিটি আমি দেখেছিলাম কলকাতায় বসে। তারপর আমি বলেছি ছেলেটি কে, অসামান্য অভিনয় করে।
প্রসেনজিৎ আরও যোগ করেন, তখনও আমি জানতাম না ওর সঙ্গে আমার এমন একটা সম্পর্ক তৈরি হবে। ‘মনের মানুষ’-এর পর থেকে আমরা প্রায়ই একবার না দুবার ফোনে কথা বলি। অভিনয় নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের জীবন নিয়ে আলোচনা করি। এখান থেকে একটা ভালোলাগা ও ভালোবাসার জায়গা তৈরি হয়েছে।
চঞ্চল চৌধুরী বয়সে ছোট না হলে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতেন প্রসেনজিৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সত্যি চঞ্চলকে ভালোবাসি, ভালোবাসাটা একদিকে ওকে আমি শ্রদ্ধাও করি। আমি ‘হাওয়া’ দেখতে নন্দনে গিয়েছিলাম। দর্শকের সঙ্গে বসে ‘হাওয়া’ এবং ‘দেবী’ সিনেমা দেখেছি। আমি চেয়েছিলাম ‘হাওয়া’ সিনেমা দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখব।
তিনি আরও বলেন, চঞ্চল আগে যে নাটকে অভিনয় করতো ওর অধিকাংশ নাটক আমার দেখা। কিছুদিন আগে বাংলায় ও একটি কাজ করেছে, আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি। আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট ও যদি (চঞ্চল চৌধুরী) আমার ছোট না হতো ওর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে আমার দ্বিধা হতো না। কারণ মৃণাল সেনের মতো চরিত্রে অভিনয় করাটা সোজা ছিল না। ‘পদাতিক’-এ অসামান্য অভিনয় করেছে।
সবশেষে প্রসেনজিৎ বলেন, আমি গর্বিত যে এমন একজন অভিনেতাকে আমি চিনি। আর মানুষ চঞ্চল অসম্ভব একজন মানুষ। আসলে ভালো অভিনেতা হতে গেলে না ভেতরে ভেতরে একজন ভালো মানুষ হওয়াটাও খুব প্রয়োজন। আমার মনে হয় সেটাই চঞ্চল চৌধুরী।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]