
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণে পর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারা। এ ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ জানিয়েছেন সাইদুর রহমান পাভেল।
রবিবার (২৯ জুন) মধ্যরাতে লাইভে এসে পাভেল ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। এ সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আগের চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিনেতা পাভেল ভিডিও বার্তায় বলেন, কুমিল্লা মুরাদনগরে যারা ধর্ষণটা করল বা যারা ভিডিওটা করল। সেনাবাহিনীর কাছে আমার অনুরোধ বা যারা এখন দায়িত্বে আছেন বা যারা ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছেন, এই নমুনা আপনাদের? সাধারণ ছাত্ররা যারা এত কিছু করল, সে দেশের এই নমুনা? এই যে পৈশাচিক ঘটনাটা ঘটাইল। এদের জনসম্মুখে ফাঁসি বা ক্রসফায়ার করা হোক। এদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক সবার সামনে। এদের পরিবারকে সামনে নিয়ে আসা হোক।
গণ-অভ্যুত্থানে সমর্থন দেওয়াটা ভুল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের থেকে ধর্ষণকারী খারাপ। আমার তো মনে হচ্ছে, এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা তো আরও খারাপ হয়ে গেল। এখন দেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। ভুল করছি। এখন তো মনে হচ্ছে ভুল করছি ভাই! সবাই ভুল করেছে।’
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত অভিনেতা যোগ করেন, আপনারা ধর্ষকদের মেরে ফেলেন। সম্পত্তির জন্য ভাই ভাইকে মেরে ফেলে, বাবা ছেলেকে মেরে ফেলে। তাহলে যারা ধর্ষক, কাজটা করছে তাদের মা-বাবা যদি বেঁচে থাকে। মা-বাবা, ভাই-বোন যদি থাকে আপনারা কাজটা করেন। যদি আপনাদের সন্তান যারা কাজটা করেছে, ওদেরকে পারলে মেরে ফেলেন।
সবশেষে অভিনেতা বলেন, সবার ঘরেই মা-বোন আছে। যারা কিছু হলেই শাহবাগ চলে যান দাবি নিয়ে। তারা সবাই মিলে আরেকটা জনসমুদ্র হোক। ধর্ষণের বিচার ফাঁসি। এদের মেরে ফেলেন। এদের মেরে ফেলেন, এটুকুই বলব।
এদিকে, শনিবার (২৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে নিপীড়নের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। পরে বিষয়টি নজরে আসে সবার। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী।
ইতোমধ্যে ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি ফজর আলীসহ (৩৮) মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি ভিডিও ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে মো. আলী সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে অনিক।
এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, পুরো বিষয়টি এখন তদন্তানাধীন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। ফজর আলীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেলে তাকে আদালতে তোলা হবে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]