
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নির্বাচন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিভাগের শিক্ষিকা ড. জিনাত হুদা। তার অভিযোগ, নির্বাচন বোর্ডে অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কম যোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ করার চেষ্টা হয়েছে। এ কারণে বোর্ড কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নির্বাচন বোর্ড কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। বিষয়টি বুধবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ৩৩ ধারার অনুচ্ছেদ ১ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও অন্যান্য শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য ‘নির্বাচন বোর্ড’ থাকে।
ড. জিনাত হুদার মতে, নির্বাচন বোর্ড সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ডিন এবং স্ব বিভাগের তিনজন শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে কোনও নাম উল্লেখ না করে শুধুমাত্র পদবী উল্লেখ করা হয়েছে। সিলেকশন বোর্ডে তাঁর থাকার কথা থাকলেও সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. ফাতেমা রেজিনা ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
ড. জিনাত হুদা বলেন, " নির্বাচন বোর্ড সাধারণত যেদিন অনুষ্ঠিত হয় সেদিনই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, কিন্তু এবার যেসব প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার জন্য বেশি যোগ্য ছিলেন, তাদের বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম যোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে। লেকচারার পদের জন্য যারা ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট তাদের সুপারিশ করা হয়নি। সহকারী প্রভাষক পদের জন্য যারা পিএইচডি শেষ করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে কেবল পিএইচডি শুরু করা প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “ড. জিনাত হুদা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। তিনি একটি চিঠি দিয়েছেন যে তার থাকা উচিৎ নির্বাচন বোর্ডে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটি যাচাই-বাছাই করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "সিলেকশন বোর্ডে বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, চেয়ারম্যান এসেছে, সাক্ষাৎকার হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যা কিছু হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের মধ্যেই হয়েছে।"
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর ড. জিনাত হুদা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে একটি হেনস্তার ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের তার সহকর্মী অধ্যাপক আ ক ম জামালকে হেনস্তা করার সময় সেখানে ছিলেন। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
হেনস্তার শিকার অধ্যাপক আ ক ম জামাল ওইদিন বলেন, "মূলত নির্বাচন বোর্ডে আমাদের না রাখতেই আজকের এই হেনস্তা হয়েছে।"
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]