
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) চারজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ওপর মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ৫ নভেম্বর( মঙ্গলবার) দুপুর ৩টার দিকে প্রশাসনিক ভবন ও এর আশপাশে এ ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে কতিপয় বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা-কর্মী প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তারা অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন।
জানা যায়, মারধর ও হেনস্তায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে বর্তমানে তিনি ড্রপআউট।
এ ছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদল কর্মী আব্দুল্লাহ আল মারুফ, যিনি ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তিনিও ড্রপআউট। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত সময়ে স্নাতক সম্পন্ন না করেও তিনি অবৈধভাবে হলে সিট দখল করে আছেন এবং নবীন শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে বাধ্য করেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ২০১৬–১৭ সেশনের শিক্ষার্থী দানিয়েল, যিনি প্রশ্নফাঁস মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। একইসঙ্গে ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসানও রয়েছেন, যিনি মাদকসেবনের অভিযোগে পূর্বে শোকজ নোটিশ পেয়েছিলেন।
এছাড়া ঘটনাটিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০১৫–১৬ সেশনের মিজবাহ এবং ২০২১ ব্যাচের মিরাজ নামের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও।
অভিযুক্ত অধিকাংশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদকসেবন ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
শেকৃবি শাখা ছাত্রদল সভাপতি আহমেদুল কবীর তাপশ বলেন,মারুফ, ফরহাদ সহ যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের বিষয়ে নানাধরনের অভিযোগ ইতোপূর্ব থেকেই ছিল।যদিও একসময়ে তারা ছাত্রদলের সঙ্গে চলাফেরা করতে তবে বহু পূর্ব থেকে তারা ছাত্রদলের ব্যানের বাইরে গিয়ে নিজস্বস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে যা ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীকে মারধরের এই অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই ছাত্রদল নিবে না বরং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পরামর্শ সাপেক্ষে এই বিষয়ে ছাত্রদল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আরফান আলী জানান,ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে মিজবাহ, মারুফ ও ফরহাদকে পাই। জিজ্ঞাসা করলে তারা দাবি করে, ভুক্তভোগীরা আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। পরে তারা আরও কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। তারা ক্যাম্পাসে ভয়ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, যা প্রশাসন কোনোভাবেই সহ্য করবে না।ঘটনা তদন্তে পুলিশকে অবহিত করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/ফয়সাল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]