চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) উনত্রিশ বছর পূর্তি হলো। এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নির্ভীকতায় পেরিয়ে আটাশ, উনত্রিশে চবিসাস।’
৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ৯ টায় চাকসুর সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চবিসাস সভাপতি মোহাম্মদ আজহার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন চবিসাসের যুগ্ম-সম্পাদক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন,আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করুন প্রয়োজনে আমি ক্লু দিব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ওয়েব পোর্টাল রয়েছে সেখানে শিক্ষকদের বায়ো জমা দিতে হয়। আপনারা ৪৮টি বিভাগের ওয়েবে ভিজিট করুন কোন শিক্ষক বায়ো জমা দেননি তা দেখে তারউপর নিউজ করুন। আমি আপনাদের সহযোগিতা করব।
তিনি আরো বলেন, আপনারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির ওপর সিরিজ নিউজ করেন। পজিটিভ নিউজ কম হলে অসুবিধা নেই। নেতিবাচক নিউজ বেশি হলে আমরা সতর্ক হতে পারবো। চবির সাংবাদিকরা যেন পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে পিছিয়ে না পড়ে। আমি দেখতে চাই, আপনারা ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজমে ভালো করছেন।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ক্রিটিক্যাল জার্নালিজম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্রিটিক্যাল জার্নালিজমের মধ্যে জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। সাংবাদিকরা শুধু খবর প্রচার করবে না, তারা গবেষণাও করবে। আধুনিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে মিডিয়া। সাংবাদিকতা জগৎটাকে যদি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সেন্টিমেন্টের সাথে যুক্ত করতে না পারি, তাহলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। ফলে এ দেশের মানুষ তাদের রাষ্ট্রের অধিকার বুঝে পাবে না।
চবিসাস সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের নিজেদেরকে ভেঙে নতুন করে গড়ার আন্দোলন। আমরা সংবাদের জন্য আমাদের সংবাদ মাধ্যমের ওপর নির্ভর ছিলাম। কিন্তু জুলাই আন্দোলনে আমরা একজন ব্যক্তি একটি মিডিয়ার ভূমিকা পালন করেছি। চবি সাংবাদিক সমিতিও একটি মিডিয়ার ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নিপু, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন ও অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এজিএম নিয়াজ উদ্দিন।
এছাড়া ছিলেন রাষ্ট্রচিন্তা চবি'র সভাপতি এস.বি. ফররুখ হোসেন (রিফু), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম, ছাত্র কাউন্সিলের ধ্রুব বড়ুয়া, শাখা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় ‘বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যেমন সংস্কার চাই’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক।
এছাড়া একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী ‘বিপ্লব-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিবার্তা/মহসিন/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]