শিরোনাম
অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির জীবনের গল্প
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২১, ১৯:১০
অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির জীবনের গল্প
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

বাবা কলেজ জীবন থেকেই নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ স্নেহভাজন হয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজশাহী কলেজে গড়ে তোলেন ছাত্রনেতাদের সংগঠন। শুরু হয় তার রাজনৈতিক জীবন। জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে মানব কল্যাণে রাজনীতি করে আসছেন। এর জন্য বাবাকে টানা পাঁচ বছর জেলও খাটতে হয়েছে। তার মেয়ে হিসেবে বংশগতভাবে আমার রক্তেও বইছে সততা ও নির্ভীকতার সাথে দেশপ্রেম ও রাজনীতি করার দীপ্ত চেতনা।


এভাবেই নিজের জীবনের গল্প বলছিলেন চলন বিলের অগ্নি কন্যা, অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের বন্ধু, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ও কল্লোল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা।



সম্প্রতি বিবার্তা২৪ডটনেটের কার্যালয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। দীর্ঘ আলাপে উঠে আসে তার কৈশোরের স্বর্ণালী দিনগুলোর কথা, সময়ের পালাবদলে পড়ালেখা, রাজনীতিতে যোগ দেয়া গল্পসহ এসব নিয়ে বর্তমান হালচাল ও ভবিষ্যৎ ভাবনা সম্পর্কে।


নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত আওয়ামী পরিবারে জন্ম কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস। নাটোর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মা গৃহিনী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে মুক্তি দ্বিতীয়। বড় ভাই মুক্তিযুদ্ধের সময় মারা যান। ছোট ভাই স্টামফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, থেকে এমবিএ পাস করে ব্যবসা করছেন।



গুরুদাসপুরে জন্ম হলেও তার শৈশবের স্বর্ণালী দিনগুলো কাটে রাজশাহী শহরের পাঠান পাড়া নানীর বাড়িতে। বাবা যেহেতু রাজনীতি করতেন তাই সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তাকে নানী বাড়িতে থেকেই পড়ালেখা করতে হয়েছে। ওখানে থাকলেও বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের জন্মস্থান গ্রামের প্রতি টান বাড়তে থাকে। আর সেই টানেই সময় পেলেই ছুটে আসতেন বাবার বাড়ি গুরুদাসপুরে।


শিক্ষাজীবনে রাজশাহী সরকারি পিএন স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি ও রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিষয়ে অনার্সসহ এমএসএস ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি ঢাকা জজকোর্টে ওকালতি পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। সেই সাথে ২০১৯-২০ সেশনে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। শৈশবের স্মৃতিচারণ করে মুক্তি বলেন, বাবা নিজের এলাকায় রাজনীতি করতেন। তখন আমার ছেলেবেলা। বাবা আমাকে সবসময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, সভা-সমাবেশে নিয়ে যেতেন। আমারও খুব ভাল লাগতো। আমার স্বপ্নের পুরুষ, শিক্ষাগুরু, আদর্শ হলেন আমার বাবা।



স্বাধীনতার আগ থেকে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি নির্দেশে উত্তরবঙ্গজুড়ে ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি। গ্রেটার রাজশাহীর ছাত্রলীগের সভাপতি। নৌকা প্রতীকে ৭ বারের মনোনয়ন এবং ৫ বার বিজয়ী সংসদ সদস্য। বর্তমানে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। রাজনীতিতে বাবার বিচক্ষণতা তাঁকে অনুপ্রাণীত করতো। মূলত বাবার মাধ্যমেই তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। খুব ছোটবেলা থেকেই বাবাকে অনুসরণ করে রাজনীতিতে যোগ দেন। ছোটবেলা থেকেই বাবার মুখ থেকে বঙ্গবন্ধুর কথা শুনতে শুনতেই বড় হওয়া মুক্তি ‘বঙ্গবন্ধু’কে তার আদর্শ হিসাবে মননে মগজে ধারণ করে রাজনীতি শুরু করেন, যা এখনো চলমান।


কথায় কথায় বাবার দেয়া সেরা উপহার ও আদর্শের কথা জানালেন মুক্তি। বলেন, বাবা আমাকে বই পড়া শিখিয়েছেন। সব সময় আমাকে বলতেন, যখন তুমি সময় পাবা তখনই বই পড়বা। যে কোনো বই হোক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, গোয়েন্দা কাহিনী, কবিতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, গবেষণামূলক বা পত্রপত্রিকা। শুধু বই পড়ো। জীবনে কাজে দিবে। আর তিনি সব সময় যেকোনো উপলক্ষে আমাকে বই উপহার দিতেন। ৯২ সালের দিকে আব্বু আমাকে তসলিমা নাসরিনের একটা বই উপহার দিয়ে সেখানে লিখে দিয়েছিলেন, ‘তুমি শুধু নারী হয়ে নয়, একজন মানুষ হয়ে বড় হও’। এভাবে আব্বু আমাকে জীবনপথে চলতে শক্তি ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।বাবা ছাড়াও আমার মা, আমার ছোট ভাই সব সময় বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আর যার কথা না বললেই না তিনি মনিরুজ্জামান কুটি আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী যিনি আমাকে সব সময় বন্ধুর মতো উপদেশ, সাহস, দিয়ে মানসিক ভাবে সাহায্য করেছেন।



কলেজ জীবনে রাজনীতি শুরু করলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মুক্তি। বাবাও একই কলেজে ছাত্ররাজনীতি করার সুবাদে সবাই তাকে একটু সম্মানের চোখে দেখতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পুরোদমে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল কমিটিতে সহ-সম্পাদক হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির পদে ছিলেন বাহাদুর বেপারি। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অজয় কর খোকন। সেই কমিটি সদস্য ছিলেন। মাস্টার্স পাস করার পরে ঢাকায় এসে তিনি এই কমিটিতে যোগ দেন।


এ প্রসঙ্গে মুক্তি বলেন, বাহাদুর ও অজয় দাদাদের মেয়াদে ছাত্ররাজনীতির একটা নতুন ইতিহাস রচিত হয়। কারণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে কোনো মেয়েকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেয়া হয়নি। নেত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন ছিল। তাই নেত্রীর প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এভাবে শুরু হয় আমার ঢাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতি।



২০০১ সালে সংসার জীবন শুরু করেন মুক্তি। কমিটির নিয়ম অনুসারে বিবাহিতরা ছাত্রলীগ করতে পারেন না। ২০০২ সালে সারাদেশে যখন যুব মহিলা লীগ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী তখন রাজশাহী বিভাগ থেকে আবারো দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। এবারও নেত্রী নিজের হাতে লিখে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব দেন মুক্তিকে। নতুন যুব মহিলা লীগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন নাজমা আক্তার আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক অপু উকিল।


২০০৪ সালে যুব মহিলা লীগের কমিটির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নাজমা আক্তারকে সভাপতি, অধ্যাপক অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। পরে ২০১৭ সালে যে কাউন্সিল হয় সেখানে মুক্তি সহসভাপতি নির্বাচিত হন। যুব মহিলা লীগ এর জন্ম লগ্ন থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে। পুলিশি নির্যাতন, জেল জুলুম, রাজপথে মিছিল মিটিং নিত্যকার বিষয় ছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে রাজপথে ছিল।



আওয়ামী লীগের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করা উদ্যোমী এই আত্মপ্রত্যয়ী নেত্রীর ভাষ্য, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আওয়ামী যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নযাত্রায় শামিল হয়ে নারীর অধিকারসহ সকল স্তরের জনগণের কল্যাণের জন্যই আমার পথচলা। ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখে শিখেছি বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের প্রতি তার সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক এবং তার একমাত্র মেয়ে হিসেবে আমিও বঙ্গবন্ধুর নীতি আর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আপা ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের নেতৃত্বে সর্বদা রাজপথে ছিলাম আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।


রাজনীতির বাইরে চলনবিলের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কল্লোল ফাউন্ডেশান’ নামের একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চলনবিলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষের জন্য একটি স্কুল ও বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অবহেলিত অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেয়া, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়াসহ নানান উন্নোয়নমূলক কাজ করছেন ওই সংগঠনের মাধ্যমে। এছাড়া স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে স্বাধীন বাংলার অবহেলিত মানুষের কল্যাণে ঢাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গৌরব ৭১’এর সাথেও যুক্ত রয়েছেন তিনি।



২০২০ সালের জানুয়ারিতে নাটোর গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুক্তি জানান, পিএসসি এবং জিএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে ২০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কল্লোল ফাউন্ডেশন। কল্লোল ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্য ‘মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ও রওশন আরা কুদ্দুসের নামে বৃত্তির নাম করণ করা হয়েছে। মনোনীত এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে জেএসসিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস’ এবং পিইসিতে ‘রওশন আরা কুদ্দুস’বৃত্তি প্রদান করা হয়। মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম স্থান অর্জনকারীকে দুই হাজার ৫০০ টাকার প্রাইজবন্ড, একটি ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী। দ্বিতীয়কে দুই হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, তৃতীয়কে এক হাজার ৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং চার থেকে ২০ নম্বর শিক্ষার্থী পর্যন্ত ৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড, একটি করে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দেয়া হয়।


মানুষ ‘মানুষের জন্য’ এই মূল মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণের জন্য স্বেচ্ছাসেবার ব্রত নিয়ে এই কল্লোল ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়। বৃহত্তর চলনবিলের তৃণমূল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পাশে থেকে কাজ করার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সাল থেকে কল্লোল ফাউন্ডেশন নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।



প্রতি বছরই সংগঠনটির পক্ষ থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়াসহ বছরজুড়েই অসহায় দরিদ্রদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়। এসব কার্যক্রম অব্যহত থাকায় ২০১৭ সালে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পায় সংগঠনটি। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারিতেও ৬৬৫ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার হিসেবে বৃত্তির প্রাইজ বন্ড, ব্যাগ, ক্রেস্ট, সনদ এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই তুলে দেন।


এছাড়াও কল্লোল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে বিভিন্ন সময় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নে থানাইখারা গ্রামে করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষদের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।


দেশ প্রেম, তারুণ্যদীপ্ত রাজনীতি, রাজপথ কাঁপানো নেতৃত্ব, সততা ও নির্ভীকতায় প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন মুক্তি। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নেত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশজুড়ে নিরঙ্কুশভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে ঘুরে এসেছেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এছাড়া মুক্তি দলের প্রয়োজনে চীনসহ জাপান, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ভারতসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশসমূহে সফর করেছেন।


জীবনের অর্জন নিয়ে মুক্তির ভাষ্য, জীবনে কোনো কিছু অর্জন করতে হলে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। কেউ কেউ আবার পথে হোঁচট খায়। পড়ে যায়। আমার বেলায়ও হয়েছে তবে সেটা বুদ্ধি দিয়ে পরিশ্রম করে, আব্বার পরামর্শে সমাধান করেছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তৈরির উপরে আমার বাবার ছায়া আছে, দিক-নির্দেশনা পরামর্শ আছে। তাই আমি ধাপে ধাপে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। তবে যা আমি হয়েছি, যা অর্জন করেছি, সবই আমার সততা, মেধা, অক্লান্ত পরিশ্রম, চেষ্টা, অধ্যবসায় ও সাধনার ফল।


একজন নেত্রী হিসেবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাসহ গ্রামের সাধারণ অসহায় মানুষদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা-সম্মান ও ভালোবাসা পাওয়াটাকেও জীবনে অন্যতম অর্জন হিসেবে মনে করেন মুক্তি। তিনি বলেন, যেকোনো জায়গায় গেলে সবাই আমাকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন, হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন এটা একজন নেত্রী হিসেবে আমার কাছে বড় অর্জন বলে মনে করি।


মুক্তি ছোটবেলা থেকেই চলনবিলের নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন। দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন দলের। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে দেশের জন্য কাজ করতে চান সারাজীবন।


বিবার্তা/গমেজ/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com