ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ উৎসব’
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ১১:০৮
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ উৎসব’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ৩ জুন ‌‘বাংলাদেশ উৎসব’ আয়োজনের মাধ্যমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী’, ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ এবং ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদযাপন করেছে।


সম্পূর্ণ বাঙালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে সম্ভাষণ, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ।


এ উপলক্ষে সমগ্র দূতালয় আলোকমালা, রংবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, ঘুড়ি, ফুল ও ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি লোকপণ্য দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।


উচ্চ পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্য, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দুই শতাধিক অতিথি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী কর্র্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন’ এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সূচনা হয়। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এর বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু সংস্করণ, কারাগারের রোজনামচা, চৎরংড়হ উরধৎরবং সহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর বই, আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শন করা করা হয়।


আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি তাঁকে শুধু বিশ্বের প্রথম সারির নেতৃত্বের কাতারেই অধিষ্ঠিত করেনি, বিশ্ববাসীর চোখে তাঁকে হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে এবং বাংলাদেশ ও বাঙ্গালি জাতিকে করেছে গৌরবান্বিত। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতি ও মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব অঙ্গীকারে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনায় তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এবং কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি।


অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতালয়ের সবুজ চত্বরে আমন্ত্রিত অতিথি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে বেশকিছু প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এরপর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



এ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাজপোশাকে সুসজ্জিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত ও নাচ পরিবেশন করে। এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিগণ সংগীত পরিবেশন করেন।


অনুষ্ঠান চলাকালে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে বাংলাদেশি চা, লাচ্চি (মাঠা) ও লেবুর শরবত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে হরেক পদের ভর্তা, মাছসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রচলিত খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।


বিবার্তা/কেআর


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com